সম্পত্তি করের পাশাপাশি বিল্ডিং, লাইসেন্স ফি, পার্কিং, জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে রাজস্ব আদায় করে পুরসভা। চলতি অর্থবর্ষের অগস্ট মাসের শেষ দিন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ১০৯ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা কম হয়েছে। তবে অক্টোবর মাসের শেষ দিন পর্যন্ত সেই ঘাটতি খানিকটা কমে হয়েছে ৭৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিভিন্ন খাতে পুরসভার খরচ দিন দিন বাড়ছে। সঙ্গে রয়েছে বিপুল দেনার বোঝা। কিন্তু পুরসভার আয় সে ভাবে বাড়েনি। তাই মেয়র রাজস্ব বৃদ্ধি করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেনওই বৈঠকে।
এক পুর আধিকারিকের কথায়, চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে প্রায় তিন মাস রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে সে ভাবে ঝাঁপানো যায়নি। সে কারণেই এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে। গত অর্থবর্ষের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সব মিলিয়ে এক হাজার ২৮৬ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছিল। সেখানে চলতি অর্থবর্ষে এই সময়কালে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ এক হাজার ২০৮ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। ৭৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায় কমলে সার্বিক ভাবে কলকাতা পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজে তার প্রভাব পড়তে পারে। কারণ শহর কলকাতার রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে পুরসভা। আয় না বাড়লে সেই সব কাজ করা পুরসভার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে বলেই পুর আধিকারিকরা মনে করছেন। তাই মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে কোনও সুরাহা উঠে আসে কি না সে দিকে তাকিয়ে পুরকর্তারা।