কয়েক মাস আগে রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরিতে বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরা সুযোগ পাবেন না। উচ্চ বিদ্যালয়ের চাকরিতে তাঁদের ওই প্রশিক্ষণ কাজে লাগবে। আর প্রাথমিকে ডিএলএডরা শুধুমাত্র সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে প্রাথমিকের চাকরি থেকে বাদ পড়েন বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরা। অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টের ওই রায় আসার আগে পশ্চিমবঙ্গে ২০২২ সালের টেট এবং প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথমে পর্ষদ জানায়, বিএড অথবা ডিএলএড যে কোনও একটি প্রশিক্ষণ থাকলেই আবেদন করা যাবে। সেই মতো অনেক বিএড প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের রায় আসার পরে অবস্থান বদলে ফেলে পর্ষদ। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয় বিএডদের।
এমতাবস্থায় বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অনেকে দাবি করেন, তাঁরা ডিএলএড কোর্সেও ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে ওই কোর্স সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ফলে নতুন করে তাঁদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হোক। ওই অংশের প্রার্থীদের আবেদনে সাড়া দেয়নি পর্ষদ। শুভ্রাংশু পাঠক-সহ কয়েক জন হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের সওয়াল, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ আসার আগে তাঁরা বিএড ডিগ্রি দেখিয়েছিল। অতএব, সেখানে কারও ভুল ছিল না। কিন্তু এখন যে হেতু বিএড গ্রাহ্য নয় বিকল্প হিসাবে ডিএলএড পড়ুয়াদের সুযোগ দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালতে কোথাও বলে দেয়নি উভয় ডিগ্রি থাকলে সংশোধন করে বিকল্প করা যাবে না।
পর্ষদ জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই তারা কাজ করেছে। বর্তমান রায় অনুযায়ী ডিএলএড গ্রাহ্য। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এখন যাঁরা ডিএলএড করছেন তাঁরা সুযোগ পাবেন না এমন কিছু বলা রয়েছে? ওই কোর্সে পড়ছেন এমন চাকরিপ্রার্থীদের ২০২২ সালের টেটে সুযোগ পাবেন কি না হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে পর্ষদকে।