রবিবার দুপুরে হঠাৎই কলকাতা বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর চেন্নাইগামী একটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়ায় বিমানবন্দর জুড়ে। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। কলকাতা বিমানবন্দরের বম্ব থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট কমিটির সদস্যেরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কিন্তু বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তবে দুপুর ৩টে নাগাদ বিমানটি ছাড়ার কথা থাকলেও তল্লাশির কারণে বিমানের উড়ানে দেরি হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া পর্যন্তও বিমানটি ওড়েনি। যার জেরে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে নির্ধারিত সময়েই বিমানে চেপে বসেছিলেন যাত্রীরা। বিমান উড়ানের তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু উড়ানের কিছু ক্ষণ আগে হঠাৎ একটি উড়ো ফোনে জানানো হয়, বিমানে বোমা রয়েছে। এর পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের নামিয়ে বিমানটিকে আইসোলেশনে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। কিন্তু দীর্ঘ তল্লাশির পরেও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হচ্ছে। অন্তর্দেশীয় বিমান তো বটেই, আন্তর্জাতিক বিমানেও ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক। গত দু’সপ্তাহে ৫০০-রও বেশি বিমানে বোমা থাকার হুমকি তথ্য ছড়িয়েছে। গত সপ্তাহেই কলকাতা বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার অন্তত সাতটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যদিও পরে দেখা যায়, সবগুলি বিমানেই বোমা রাখার তথ্য ভুয়ো।
তবে সম্প্রতি একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রের। নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপও করা হয়েছে। কারা এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমাজমাধ্যমকে হাতিয়ার করে বোমাতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। সেই দিকে নজর রেখে এক্স (সাবেক টুইটার), মেটার মতো সমাজমাধ্যমকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র তৎপরতায় দেশের সব বিমানবন্দরে আরও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।