বাড়ি ফিরে যুবতী ফেসবুকে এই ঘটনা লেখেন। তারপরই নানা কটুক্তি করা হয় তাঁকে। ফটকগোড়া পুজো কমিটিও একটি পোস্ট করে জবাব দেয়। চাপে পরে পোস্ট ডিলিট করে দেন যুবতী। পরে আরও একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন সব মিটে গেছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বারোয়ারী পুজো কমিটির সবার কাছে।
যুবতী ওই বারোয়ারী পুজো কমিটির সদস্য ছিলেন। যুবতীর বাবার অভিযোগ কমিটি থেকে ফোন করেও নানা কথা বলা হয়। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে মেয়ে। গতকাল রাতে মা বাবা ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গেলে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন যুবতী। আজ তাঁর ময়না তদন্ত হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। চন্দননগর থানা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
ফটকগোড়া পুজো কমিটির সম্পাদক বিপ্লব দাস বলেন, 'খুবই মর্মাহত আমরা এই ঘটনায়।ওর বাবা যে অভিযোগ করছেন সেটা হয়ত ঘটনার আকস্মিকতায়। পুজো এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। সেদিনকার ঘটনাটা খুব সামান্য একটা ঘটনা। ষষ্ঠীর রাত ছিল খুব ভিড় ছিল। কুকুর নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। অনেক দর্শনার্থী সরাসরি পুজো কমিটির দিকে আঙুল তুলেছিল। তখন অনুরোধ করা হয় কুকুর নিয়ে বেরিয়ে যান। ব্যক্তিগতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী পোস্ট করেছে সে বিষয়ে পুজো কমিটির কিছু জানে না। কেউ কিছু মন্তব্য করে থাকলে তার দায়িত্ব পুজো কমিটির নয়'।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭