উজ্জ্বল পাল, বিষ্ণুপুর: কোতুলপুরের চাতরা মোড় সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর এবারের থিম ‘মুখোশ’। মুখ আর মুখোশের আড়ালে আর এক মুখ। মানুষের চরিত্র যেন এমন না হয়, এমনই বার্তা দিতে পুজো কমিটি এবার তাদের মণ্ডপকে বেছে নিয়েছে। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার তাদের পুজো পঞ্চম বর্ষে পড়েছে। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে নবমী পর্যন্ত পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকার বাসিন্দারা মেতে ওঠেন। আজ দশমীর দিন বিসর্জন হবে। সাবেকি প্রতিমা ও আকর্ষণীয় থিমের মণ্ডপ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। স্থানীয় শিল্পী রাজু বৈরাগী প্রতিমা তৈরি ও মণ্ডপ সাজিয়েছেন। কাগজ, ফুল ও কাপড় দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হয়।
কমিটির সম্পাদক প্রান্তিক মণ্ডল বলেন, ষষ্ঠীর দিন জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরের মহারাজ তৎকৃপানন্দজি পুজোর উদ্বোধন করেন। অষ্টমীর দিন ১৫০ জন দুঃস্থকে বস্ত্রদান করা হয়েছে। নবমীর দিন রক্তদান শিবির করা হয়। এছাড়াও পুজোয় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাজেট প্রায় তিন লক্ষ টাকা। মানুষের আসল মুখ আর মুখোশের আড়ালে আর এক মুখকে মণ্ডপের থিমে বোঝানো হচ্ছে। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে চাতরামোড়ের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা মিলে জগদ্ধাত্রী পুজো করার উদ্যোগ নেন। প্রথম বছর চাতরা বাসস্টপেজের সামনের মাঠে ছোট আকারে পুজো করা হলেও পরবর্তীতে জৌলুস বাড়ানো হয়। পুজোর বাজেটও বাড়ে। পুজোয় চাতরা মোড় ছাড়াও স্থানীয় সুখজোড়া, দাসদিঘি, কারকবেড়িয়া, গেলিয়া, টানাদিঘি, ছত্রআড়া প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন। ক্রমেই পুজো আকারে বাড়তে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার মণ্ডপে থিম করা হয়। সপ্তমীর দিন সকালে ৯০জন মহিলা শোভাযাত্রা সহকারে ঘট আনতে যান। অষ্টমীর দিন বিশেষ পুজো হয়। নবমীর দিন সকালে কুমারী পুজো হয়। দুপুরে প্রসাদ বিলি করা হয়। রাতে মহিলা পরিচালিত এবং অভিনীত নাটক পরিবেশিত হয়। পুজো উপলক্ষ্যে মেলাও বসে।