সংবাদদাতা, তেহট্ট: তেহট্টের সব চেয়ে বড় উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজোর বিসর্জন হবে মঙ্গলবার। এই প্রথম তেহট্টে হাইড্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুলিস প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা। এতে জলঙ্গির দূষণ কম হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি পুজো কমিটি থেকে পরিবেশ কর্মীরা। সেই সঙ্গে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে বিসর্জন ঘাটে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করছে গ্রাম পঞ্চায়েত।
তেহট্টে শহরে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৭০টি পুজো হয়। তার মধ্যে বেশির ভাগ প্রতিমা জলঙ্গি নদীতে বিসর্জন হয়। প্রতিবার বিসর্জনের সময়ে বিশাল আকারের প্রতিমা বিসর্জন দিতে সমস্যা হয়, সময়ও বেশি লাগে। ফলে প্রতিমা বিসর্জন মিটতে অনেক দেরি হয়ে যায়। বিসর্জনের পর নদী থেকে কাঠামো তুলতে দেরি হয়। হাইড্রার মাধ্যমে বিসর্জন হলে বিসর্জন তাড়াতাড়ি হবে এবং কাঠামো জল থেকে তাড়াতাড়ি তুলে ফেলা যাবে। এতে নদী দূষণ কম হবে ও সময়ও কম লাগবে। প্রশাসন থেকে পুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিমার গায়ে যত প্লাস্টিক, ফুল, অস্ত্র সব খুলে ট্রাক্টরে রেখে দিতে হবে। তারপর প্রতিমা হাইড্রার মাধ্যমে তুলে জলে দেওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রতিমার কাঠামো তুল নেওয়া হবে। তেহট্টের এক পুজো কমিটির সদস্য কাজলকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন পর আমাদের দাবি মেনে দুটো কাজ করেছে। প্রথমত পরিবেশ বান্ধব বিসর্জন দেওয়ার জন্য হাইড্রার ব্যবস্থা করা আর বিসর্জন ঘাটে যাওয়ার রাস্তা ঠিক করা। এজন্য আমরা পুজো উদ্যোক্তারা খুশি।
তেহট্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্তের সঞ্চালক সুমিত বিশ্বাস বলেন, আমরা এবার পরিবেশ বান্ধব বিসর্জনের ব্যবস্থা করেছি। যার জন্য বাইরে থেকে হাইড্রা আনানো হয়েছে। এতে খুব তাড়াতাড়ি যেমন বিসর্জন হবে, তেমন তাড়াতাড়ি নদী থেকে কাঠামো তুলে ফেলা হবে। এতে নদী দূষণ কম হবে।