• আমডহর গ্রামে ৩০০ বছরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোয় উৎসবের মেজাজ
    বর্তমান | ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • আনন্দ সাহা, লালবাগ: কয়েক শতাব্দী প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতেছে রানিতলা থানার আমডহর গ্রাম। আলোক মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুজো মণ্ডপ সহ পুরো গ্রাম। পুজো উপলক্ষ্যে গ্রামীণ মেলা বসেছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মেলায় ভিড় জমায় আট থেকে আশি। ঠাকুর দেখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জ, লালবাগ, ভগবানোগোলা থানার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় আমডহর গ্রামে। গ্রামবাসীর বিনোদনের জন্য সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 


    রানিতলা থানার জগদ্ধাত্রী পুজো বারোয়ারি হলেও গ্রামের প্রতিটি মানুষ এই পুজোকে নিজের বাড়ির পুজো বলেই মনে করে থাকে। প্রবীণদের দাবি, আমডহরা গ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজো তিনশতাধিক বছরের প্রাচীন। প্রাচীন প্রথা মেনে সপ্তমী থেকে নবমী এই তিনদিন পুজো চলে। সপ্তমী ও অষ্টমীতে ফল, লুচি, মিষ্টি দিয়ে দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়। নবমীতে দেবীর ভোগে পোলাও, খিচুড়ি, পাঁচ তরকারি, পাঁচ রকম ভাজা, চাটনি এবং রকমারি মিষ্টান্ন দেওয়া হয়। নবমীর পুজোর পর গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ওইদিন সন্ধ্যায় মণ্ডপে উপস্থিত সকল মানুষ এবং দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। একাদশীর বিকেলে ঢাক ও বাজনা সহযোগে শোভাযাত্রা করে স্থানীয় জলাশয়ে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা শোভাযাত্রায় সামিল হন। 


    পুজো কমিটির সম্পাদক খোকন মণ্ডল বলেন, সারা বছর ধরে গ্রামের সবাই জগদ্ধাত্রী পুজোর চারটি দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয়স্বজন, পরিচিতরা আসেন। কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁরাও পুজোর আগেই ফিরে আসেন। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সুজিত মণ্ডল বলেন, আগে মাটির দেওয়াল ও খড়ের চালের মন্দির ছিল। গ্রামবাসীদের উদ্যোগে একই জায়গায় পাকা মন্দির গড়ে উঠেছে। গ্রামের এক প্রবীণ বলেন, আমডহরা গ্রামের পুজোর প্রধান বৈশিষ্ট্য নবমীর সন্ধ্যা আরতি। মায়ের আরতি দেখতে মণ্ডপে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। কলেজ পড়ুয়া সুমন মণ্ডল বলেন, পুজোর কয়েকটা দিন খুব আনন্দ করি। পুজো মণ্ডপে আড্ডার মেজাজে দিনগুলি হু হু করে কেটে যায়। 
  • Link to this news (বর্তমান)