• বধূর মৃত্যু, নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
    বর্তমান | ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় বনগাঁর একটি নার্সিংহোম। মৃতার নাম অন্তরা পাল (২৭)। অশোকনগরের বাসিন্দা সে। ৬ নভেম্বর বনগাঁর একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, দু’দিন বিনা চিকিৎসায় নার্সিংহোমে ফেলে রাখা হয় তাঁকে। শনিবার অবস্থার অবনতি হলে বনগাঁ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় অন্তরার। এই ঘটনায় নার্সিংহোম মালিক চিকিৎসক মলয় সাহার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন মৃতার মামা। অশোকনগরের বাসিন্দা অন্তরা পাল চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ৬ তারিখ পেটে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে বনগাঁর একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক মলয় সাহার তত্ত্বাবধানে ভর্তি হন গৃহবধূ। পরিবারের দাবি, চিকিৎসক জানান গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দু’দিন ধরে চিকিৎসায় কোনও উন্নতি না হওয়ায় কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানোর দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, চিকিৎসক মলয় সাহা জানান, সঠিক চিকিৎসা চলছে। শনিবার সকালে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বনগাঁ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় গৃহবধূর। পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে বনগাঁ থানায় অভিযোগ করেন মৃতার মামা বিশ্বজিৎ পাল। তিনি বলেন, আমরা বারবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানোর কথা বলেছিলাম। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শোনেনি। নার্সিংহোমের গাফিলতিতে আমার ভাগ্নির মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে মৃতার স্বামী পলাশ পাল বলেন, বিনা চিকিৎসায় দু’দিন নার্সিংহোমে ফেলে রাখা হয়েছিল রোগীকে। আমরা সিজার করতে বলেছিলাম। ডাক্তার সেটা করেননি। যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক মলয় সাহা। তিনি বলেন, মহিলার গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল কয়েকদিন আগে। আমরা অপারেশন করতে বলেছিলাম। কিন্তু রোগীর পরিবার তাতে রাজি হয়নি। আমরা পরবর্তীতে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিই। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। গাফিলতি হয়নি। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)