সংবাদদাতা, হবিবপুর: কারও বয়স তিন-চার বছর। কারও পাঁচ। তারা প্রত্যেকে ভিন্ন জনগোষ্ঠীর। এই প্রথম নয় জনগোষ্ঠীর ছোট্ট ছোট্ট নয় কুমারীকে দুর্গা সাজিয়ে পুজো করা হল গাঙ্গুরিয়া সারদা তীর্থম আশ্রমে। রবিবার জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে বামনগোলা ব্লকের এই আশ্রমে কুমারীদের আরাধনা করা হল। শাড়ি, অলঙ্কার, ফুলের মালা পরিয়ে রীতিমতো দেবীরূপে কুমারীদের পুজো করলেন ‘ভক্তরাও’। নবমীতে কুমারী পুজো দেখতে আশ্রমে ভিড়ও উপচে পড়ে।
এই আশ্রমে ২৫ বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে। তবে নবমী ও দশমীতেই জগদ্ধাত্রীর আরাধনা হয়। আশ্রমের রজতজয়ন্তী বর্ষে এবারই প্রথম এখানে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত জগদ্ধাত্রী দেবীর আরাধনা হচ্ছে। পুজোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও চলছে। আশ্রমের সম্পাদক স্বামী আত্মপ্রাণানন্দ উজ্জ্বল মহারাজ বলেন, সমাজে এখনও জাতপাতের ভেদাভেদ রয়েছে। এই সামাজিক ব্যাধি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তাই আমাদের আশ্রমে নয় জনগোষ্ঠীর নয় কুমারীকে পুজো দেওয়া হল। এদিন সাড়ে চার বছরের তৃষা প্রামাণিক প্রথমবার দুর্গারূপে পুজো পেল। ভক্তরা এসে তাকে প্রণাম করায় সলজ্জিত হাসি তৃষার। জাতপাতের বেড়াজাল সরাতে আশ্রম কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রাও। এদিন আশ্রমের পুজোয় এসেছিলেন অশোক মজুমদার। তিনি বলেন, একসঙ্গে ৯ টি জনগোষ্ঠীর নয় কুমারীকে দুর্গা সাজিয়ে পুজো, এটা প্রথমবার দেখলাম।
আশ্রমের সম্পাদক জানান, চণ্ডীতে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের কথা বলা হয়েছে। সেই মতো নয় কুমারীকে দুর্গা সাজিয়ে এদিন পুজো করা হয়েছে।