সংবাদদাতা, তপন: তপনের নাকরাকুড়ি ব্রিজ থেকে দাড়ালহাট পর্যন্ত প্রায় ৭ কিমি রাস্তার বেহাল দশা। স্থানীয়দের দাবি, ১০ বছর আগে জেলা পরিষদের উদ্যোগে রাস্তা তৈরি হলেও তিন বছরের মধ্যে উঠে যেতে শুরু করে পিচ। বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে গর্ত। পাথরকুচিতে ভরা রাস্তা দিয়ে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কারণ প্রায় গাড়ির চাকা ফেটে যাচ্ছে। নাকরাকুড়ি ব্রিজ থেকে দীপখণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের যশরাই হয়ে কিষ্টপুর বাজার দিয়ে দাড়ালহাট পর্যন্ত গিয়েছে রাস্তাটি। স্থানীয়রা জানান, বহু লড়াই, আন্দোলনের পর বছর দশেক আগে পিচের রাস্তা হয়েছিল। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় অল্পদিনেই পিচের চাদর উঠে যেতে শুরু করে। বছর তিনেক পর রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা হয় বিভিন্ন জায়গায়।
দীপখণ্ডার বাসিন্দা আইয়ূব মণ্ডল বলেন, রাস্তার কিছু জায়গা এতটাই খারাপ যে টোটো নিয়ে গেলে চাকা ফাটবেই। সেজন্য ভয়ে ওই পথ দিয়ে যেতে চান না টোটো চালকরা। প্রয়োজন থাকলেও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারি না। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হোক। এদিকে ওই রাস্তার পাশে রয়েছে প্রাইমারি ও হাইস্কুল। বহু পড়ুয়া সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে সমস্যায় পড়ছে। কিষ্টপুরের কাজী রমজান আলীর কথায়, অনেক ছাত্র এই রাস্তা দিয়ে সাইকেল, বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দ্রুত সংস্কার না করা হলে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামনি বিহা বলেন, রাস্তাটি আমাদের প্ল্যানে ধরা আছে। অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ শুরু হবে।