• ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশেই ফেয়ার প্রাইস শপ! দুর্গন্ধের জেরে ওষুধ কিনতে যান না রোগীরা
    বর্তমান | ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশেই ফেয়ার প্রাইস শপ! অভিযোগ, দুর্গন্ধের জেরে সেখানে ওষুধ কিনতে যেতে চাইছেন না অধিকাংশ রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। ফলে ৮১ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ মিললেও জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে বিক্রি কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। দিনে ১০ হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। একে তো ফেয়ার প্রাইস শপের পাশেই দিনের পর দিন ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে হাসপাতালের বর্জ্য, দু’মিনিট দাঁড়ালে গা পাকিয়ে বমি উঠে আসার জোগাড় হয়, তার উপর হাসপাতালের উপর তলার ওয়ার্ড থেকে মাঝেমধ্যেই শপের সামনে তুলো, গজ ছুড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতি। 


    যে সংস্থাটি জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে ফেয়ার প্রাইস শপ চালাচ্ছে, তাদের কর্মীদের বক্তব্য, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হয়েছে, এখান থেকে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানটি সরানোর ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। পাশেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যেভাবে হাসপাতালের বর্জ্য পড়ে থাকে, দুর্গন্ধে এখানে রোগীদের বেশিরভাগই ওষুধ কিনতে আসতে চান না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ।


    জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে যে সংস্থা ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান চালাচ্ছে, তাদেরই ফেয়ার প্রাইস শপ রয়েছে বর্ধমানের অনাময় হাসপাতাল ও তমলুক হাসপাতালে। কর্মীদের দাবি, আউটডোর থাকলে ৮৪ শতাংশ ছাড় দিয়েও অনাময় হাসপাতালে ফেয়ার প্রাইস শপ থেকে দিনে লক্ষ টাকার ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। তমলুকেও ৮৪ শতাংশ ছাড় দিয়ে দিনে গড়ে ৩৫ হাজার টাকার ওষুধ বিক্রি হয়। সেখানে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে দিনে ১০ হাজার টাকার ওষুধও বিক্রি হচ্ছে না।


    অভিযোগ, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের একাংশের চিকিৎসক ওষুধের জেনেরিক নামের পরিবর্তে ব্র্যান্ডের নাম লিখছেন প্রেসক্রিপশনে। সেই প্রেসক্রিপশন নিয়ে যখন রোগী বা তার পরিবার ফেয়ার প্রাইস শপে আসছে, তখন একই কম্পোজিশনের অন্য ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পরে ওই চিকিৎসকরা রোগীর পরিবারকে বলছেন, ফেয়ার প্রাইস শপের ওষুধে যদি রোগ না সারে, তাহলে তাঁর কোনও দায় নেই। ফলে রোগী ভয় পেয়ে আর ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে আসছেন না। ফেয়ার প্রাইস শপের কর্মীদের দাবি, মেডিসিন ও অর্থোপেডিক বিভাগে সবচেয়ে বেশি ব্র্যান্ড নেমে ওষুধ লেখা হচ্ছে। বেশকিছু প্রেসক্রিপশনও তাঁরা জেরক্স করে রেখেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখতে চাইলে তাঁরা দেখাতে পারেন।


    মেডিক্যালের সুপার বলেন, ফেয়ার প্রাইস শপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি ঠিক কী ঘটছে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে সহকারী সুপারকে। রিপোর্ট পেলে তারপর বলতে পারব।
  • Link to this news (বর্তমান)