• উপভোক্তার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার হার বেশি ১০ ব্লকে
    বর্তমান | ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এই পর্বে বহু নাম বাদ যাচ্ছে উপভোক্তা তালিকা থেকে। পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তত ১০টি ব্লকে নাম বাদ যাওয়ার হার তুলনামূলক বেশি। এসব ব্লকে ২০ শতাংশের বেশি উপভোক্তার নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়েছে। কারণ, কোনও এক সময় এদের বেশিরভাগই প্রকৃত বা উপযুক্ত উপভোক্তা হলেও এখন তাঁরা পাকা বাড়ি করে ফেলেছেন। স্বভাবতই বাড়ি পাওয়ার তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। 


    তবে যেসব উপভোক্তা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কোনও সদস্য বা উত্তরসূরী বাড়ি পাবেন। কিন্তু তার জন্য পূরণ করতে হবে একটি ফর্ম। এখানেও রয়েছে একটি শর্ত। সেই উত্তরসূরী বা পরিবারের সদস্যের যদি পাকা বাড়ি থাকে, তাহলে তিনি আর আবাসের বাড়ি পাবেন না। আর যদি মৃতের পরিবারের একাধিক সদস্য দাবিদার হয়ে থাকেন, তাহলে যিনি এই বাড়ির টাকা পাবেন, তাঁকে বাকিদের থেকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ এনে জমা করতে হবে। 


    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুরপুকুর মহেশতলা, কুলপি, নামখানা, ভাঙড় ২ সহ ১০ টি ব্লকে ব্যাপক হারে নাম বাতিল হয়েছে। সমীক্ষার সময় আধিকারিকরা এই উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখেছেন, অনেকেই ছাদ ঢালাই করে বাড়ি করে ফেলেছেন। কেউ কেউ আগের সমীক্ষায় ছলচাতুরি করে বাড়ি পাওয়ার জন্য কুঁড়েঘর দেখালেও চলতি সমীক্ষায় তা ধরা পড়েছে। সেসব ক্ষেত্রেও নাম বাদ দিতে হয়েছে। সাগর, কুলতলি, বাসন্তীর মতো ব্লকে সমীক্ষার কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু ডায়মন্ডহারবার মহকুমার দু’-তিনটি এমন ব্লক রয়েছে, যেখানে সমীক্ষার কাজ অনেকটাই ধীর গতিতে চলছে। ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


    এদিকে, এখনও বহু উপভোক্তার ভেরিফিকেশন বাকি রয়েছে। কারণ, এঁদের মধ্যে একটা বড় অংশই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে এই শ্রমিকদের বাড়িতে একবার সমীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের ফেরার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাঁরা এসে সংশ্লিষ্ট ব্লকের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তখন যাবতীয় নথি পরীক্ষা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)