ঘোলার রাস্তায় এখনও জমে জল, নতুন হাইড্র্যান্ট নির্মাণে বরাদ্দ ২ কোটির বেশি
বর্তমান | ১১ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: বর্ষা হলেই রাস্তায় হাঁটু সমান জল। কোথাও আবার তা কোমর ছাড়িয়ে যায়। বাড়ি-ঘরে নর্দমার জল উঠে নরকযন্ত্রণা শুরু হয়। প্রায় সাড়া বছর ভোগান্তি চলে। এখনও ঘোলার বহু রাস্তা জলমগ্ন। সমস্যা সমাধানের জন্য বারবার সরব হচ্ছিলেন বাসিন্দারা। এবারে হয়তো মিলতে পারে সুরাহা। প্রাথমিকভাবে ঘোলার গ্যাস গোডাউন থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত দীর্ঘ হাইড্রেন তৈরির জন্য নগরোন্নয়ন দপ্তর ২ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে। এই কাজ রূপায়ণ করবে কেএমডিএ। দ্রুত কাজ শুরুর তোড়জোড় চলছে। স্থানীয় মানুষের আশা, সঠিকভাবে কাজ হলে দীর্ঘ যন্ত্রণার মুক্তি হবে।
বাসিন্দাদের দাবি, বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয় পানিহাটির বিস্তীর্ণ এলাকা। জলা জমি ভরিয়ে নির্মাণের ফলে জল জমার সমস্যা বাড়ছে। ঘোলা এলাকায় এই সমস্যা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। একদিকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির পরে দু’দিকের হাইড্রেন অনেক উঁচু হয়েছে। এছাড়া মধ্যমগ্রাম রোডও উঁচু হয়েছে। চারপাশে খালি জমিতে বহুতল তৈরি হচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। যার জেরে প্রায় সারা বছর ঘোলার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বহু এলাকা জলমগ্ন থাকছে। স্থানীয় মানুষ বহুবার সমস্যা সমাধানের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনও করেছিলেন। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরিন্দম বিশ্বাস পূর্বাচল ডি ব্লক ও ক্ষুদিরামনগর এলাকার জল বের করার জন্য কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত দু’টি পৃথক হাইড্রেন তৈরির দাবি জানিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসন ও কেএমডিএর আধিকারিকরা একাধিকবার এলাকা পরিদর্শন করে রূপরেখাও স্থির করেছিলেন। শেষপর্যন্ত নগরোন্নয়ন দপ্তর ঘোলা গ্যাস গোডাউন থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ফতুল্লাপুর ক্রসিং পর্যন্ত হাইড্রেন তৈরির অনুমতি দিয়েছে। খরচ হবে ২ কোটি ৩১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৬৩ টাকা। অরিন্দমবাবু বলেন, প্রথম দফায় গ্যাস গোডাউন থেকে হাইড্রেনের অনুমোদন মিলেছে। বিধায়ক নির্মল ঘোষ নগরোন্নয়ন দপ্তরে তদ্বিরও করেছিলেন। দ্বিতীয় হাইড্রেন তৈরির পাশাপাশি পাম্প হাউস করে জল টানার ব্যবস্থা হলে ঘোলায় জমা জলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে। পুরসভার পূর্তদপ্তরের সিআইসি সোমনাথ দে বলেন, পুরসভার ভৌগোলিক অবস্থান অনেকটা গামলার মতো। তাই নিচু এলাকায় জল জমার সমস্যা রয়েছে। মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র