সূচনার আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, ২০১১ সালে মনোরঞ্জন মারা যান। ২০১২ সালে সূচনা বাবার মৃত্যুকালীন চাকরির জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সচিবের কাছে আবেদন করেন। ২০১৪ সালে রাজ্যের শিক্ষা দফতরে সূচনার চাকরির সুপারিশ করেন সচিব। সেই মতো সূচনাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও পরিবারের অনুমতিমত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক। পর্যাপ্ত নথিপত্র জমা দেওয়ার পরেও, জেলার শিক্ষা আধিকারিক উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২০১৮ সালে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সূচনা।
এক্রামুল জানান, তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা অধিকর্তাকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীর নিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন। শিক্ষা দফতর থেকে সূচনাকে জানানো হয় যে, তাঁর শিক্ষক পদের পর্যাপ্ত যোগ্যতা না-থাকায় তাঁকে শিক্ষাকর্মী পদে চাকরি দেওয়া হবে। ২০২১ সালে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সূচনার সব নথি তলব করেন। সেই মতো নথি জমা দেন সূচনা। আদালতের নির্দেশের পরেও চাকরি না পাওয়ায় সূচনা ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, নথিপত্র ও পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়ার জন্য নিয়োগে দেরি হচ্ছে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য পুলিশি যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। সূচনাকে নিয়োগপত্র দিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আইনজীবীদের দাবি, এমন বহু মামলাই আদালতে চলছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করছে রাজ্যের বিভিন্ন দফতর। এ ক্ষেত্রেও যেমন বাবার মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে পদক্ষেপ করা সত্ত্বেও সরকারের গাফিলতিতে ১২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কত জন এমন লড়াই করার ধৈর্য ধরতে পারবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।