বিএসএফ সূত্রের খবর, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ চার জনকে চোরাপথে সীমান্ত পেরোতে দেখে থামানোর চেষ্টা করা হয়। চোরাকারবারিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। জওয়ানরা শূন্যে গুলি চালান। দু’জন ভারতীয় সীমান্তের দিকে পালায়। অন্য দু’জন ব্যাগ নিয়ে ইছামতী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। নদীর দুই পাড়ে তল্লাশি চালিয়ে পরে ৫০০ বোতল তরল মাদক উদ্ধার হয় বলে দাবি বিএসএফের। কয়েক ঘণ্টা পরে ভোর ৪টে নাগাদ জল থেকে দু’জনকে ধরে ফেলেন জওয়ানেরা। তাদের আটক করে আংরাইল ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই বাবাই অসুস্থ বোধ করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, জওয়ানেরা যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। অসুস্থ বোধ করায় দ্রুত চিকিৎসাও দেওয়া হয়। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোরাচালানের অভিযোগে আগেও ধরা পড়েছিলেন বাবাই। ছেলের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবারটি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।