বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পাঁচ বিজেপি সমর্থকের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ করেন পিন্টুর স্ত্রী শিখা সরকার। তৃণমূলের অভিযোগ, তৃণমূল করাতেই বিজেপি কর্মীরা ওই পরিবারটির উপর অত্যাচার করছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। অভিযোগ পেয়ে রবিবার দুপুরে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ওই বেড়া সরিয়ে যাতায়াতের রাস্তা খুলে দেয়। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় বিজেপি সমর্থক বলে পরিচিত লোকেশ, পরান সরকারদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী পিন্টুর দীর্ঘদিন ধরেই জমিজমা নিয়ে বিবাদ। গত জুলাইয়ে বিষয়টি নিয়ে ওই বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেন পিন্টু। তাঁর স্ত্রী শিখা অভিযোগ করেছেন, ২ নভেম্বর লোকেশ, পরান-সহ পাঁচ জন তাঁর স্বামীকে বাড়ির সামনে মারধর করে।
আহত পিন্টুকে বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা যাতে বাড়ি থেকে বার হতে না পারি, সেই জন্য শনিবার ওই অভিযুক্তেরা বাড়ির সমস্ত রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়।” পিন্টুর অভিযোগ, “আমি তৃণমূল করাতেই বিজেপির লোকজন রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।”
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের বাবু সরকার বলেন, “ভাগলপুর গ্রামের প্রায় সবাই বিজেপি কর্মী। পিন্টু সরকারের পরিবারই একমাত্র তৃণমূলের সক্রিয় সমর্থক। এ কারণে বিজেপি কর্মীরা বারবার ওই পরিবারটির উপর অত্যাচার করছে।”
যদিও বিজেপির তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনাটির প্রসঙ্গে দলের কালিয়াচক-২ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সমীর মণ্ডল বলেছেন, “রাস্তা ও জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ। এখানে রাজনীতির যোগ নেই।” বিজেপির মালদহ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ থেকে সরকার— সবই তৃণমূলের। সেখানে এমন ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য? এটা গ্রাম্য বিবাদ।”