মিঠুলালের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং সন্দীপ সূত্রধর আদালতে জানান যে, চলতি বছরের ৩ জুলাই ধুবুলিয়ার বিডিওর উপস্থিতিতে মিঠুলাল এবং পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ওই ব্লকের স্কুলগুলিতে তিন বছরের জন্য মিড-ডে মিলের চাল ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সরকারি গুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করে নিজের গুদামে মজুত করবেন ঠিকাদার এবং সেই চাল বিভিন্ন স্কুলে সরবরাহ করবেন। প্রথম মাসে সরবরাহ করার পরে আচমকাই ঠিকাদারের বরাত প্রথমে তিন মাসের জন্য ও পরে পুরোপুরি চুক্তি বাতিল করেন পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা, তথ্য-সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া বিভাগের স্থায়ী কর্মাধ্যক্ষ। অভিযোগ, কোনও নোটিস না দিয়ে এবং আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিঠুলালের বদলে আগের বছরের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে সমিতি। অথচ উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকার জন্য ওই সংস্থার চুক্তি পুনর্নবীকরণ না করে মিঠুলালকে বরাত দেওয়া হয়েছিল।
রাজ্যের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন যে, মামলাকারীর সঙ্গে সরকারি ভাবে চুক্তি হয়নি এবং মামলাকারী চুক্তির নিয়ম ও শর্তাবলি মেনে কাজ করছিলেন না। তাই তাঁর চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি কর্মাধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন নির্দেশ দেন।