আগামী ১৩ নভেম্বর সিতাই-সহ রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচনে তৃণমূল সঙ্গীতা রায়কে প্রার্থী করেছে। বিধি অনুযায়ী কমিশনে মনোনয়নপত্র এবং হলফনামাও জমা করেন তিনি। তার পরই আসরে নামেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, কমিশনে সঙ্গীতা যে জাতিগত শংসাপত্র জমা করেছেন, তা ঠিক নয়। নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন তিনি। এ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থও হয় বাম এবং কংগ্রেস। যদিও সে ব্যাপারে কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি। তার পরই হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়।
আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর আবেদন, নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থী। তিনি তফসিলি জাতি না হয়েও ‘ভুয়ো’ জাতিগত শংসাপত্র জমা করেছেন। তাই তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হোক। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি ছিল। তবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওই বিষয়ে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আদালতে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনে লড়তে আপাতত আর কোনও বাধা রইল না সঙ্গীতার।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে লড়ে জিতেছিলেন জগদীশচন্দ্র বর্মা। তবে ২০২৪ সালে তাঁকেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। জিতে তিনি সাংসদ হওয়ায় সিতাইয়ে এই উপনির্বাচন। তৃণমূল প্রার্থী করেছে সঙ্গীতাকে। তাঁর বিরুদ্ধেই কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন হরিহর রায়। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ায় এখানে প্রার্থী দিয়েছে বামেরাও। তারা ফরওয়ার্ড ব্লকের অরুণকুমার বর্মাকে প্রার্থী করেছে। বিজেপির প্রার্থী দীপক রায়।