যদিও বিষয়টি নিয়ে কুণাল নিজে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমি এখন একটা জগদ্ধাত্রী পুজোয় আছি। শান্তির জল নিচ্ছি। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’
লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতায় তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস রায়কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। একটি রক্তদান শিবিরের মঞ্চে প্রকাশ্যে সেই তাপসের প্রশংসা করে দলের ‘রোষে’ পড়েছিলেন কুণাল। প্রসঙ্গত, সুদীপ এবং কুণালের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা তৃণমূলের ভিতরে-বাইরে কারও অজানা নয়। তার আগেও একাধিক বার সুদীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। তা নিয়ে বেশ কয়েক বার দলকে অস্বস্তিতেও পড়তে হয়েছে। কিন্তু ভোটের সময় বিরোধী প্রার্থীর প্রশংসা যে দল স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি, তা তার অব্যবহিত পরেই টের পাওয়া গিয়েছিল।
যে দিন কুণাল তাপসের প্রশংসা করেছিলেন, ঠিক সেই দিন বিকেলেই তৃণমূলের তরফে বিবৃতি জারি করে কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত করা হয়। সেই বিবৃতিতে সই ছিল দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের। বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল, কুণালের মন্তব্য দলের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সেই মন্তব্য একেবারেই কুণালের ব্যক্তিগত অভিমত।
ঘটনাচক্রে, এ সবের আগেই কুণাল নিজের এক্স হ্যান্ডলের ‘বায়ো’ থেকে তৃণমূলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকার কথা মুছে দিয়েছিলেন। দল তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অপসারিত করার পর কুণাল বলেছিলেন, ‘‘যে পদ থেকে আমি নিজেই সরে গিয়েছি, সেখান থেকে অপসারণ করার কোনও অর্থই হয় না।’’ সোমবার নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তৃণমূলের চিঠি থেকে কার্যত স্পষ্ট, কুণাল সেই পদ ফিরে পেয়েছেন। যদিও কুণালের এক্স হ্যান্ডলের ‘বায়ো’-তে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদে ফেরার বিষয়টির কোনও উল্লেখ নেই (এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত)।