ওই গার্ডরেলগুলি প্ল্যাটফর্মের সীমানাসূচক হলুদ লাইনের গা-ঘেঁষে বসানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই ব্যবস্থায় আত্মহত্যার ঘটনা ঠেকাতে গিয়ে যাত্রীদের ওঠানামার ক্ষেত্রে নতুন করে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা তৈরি হবে না তো? উল্লেখ্য, মেট্রো কর্তৃপক্ষ কালীঘাট স্টেশনের এক দিকের প্ল্যাটফর্মে মোট ৩১টি গার্ড রেল বসানোর কথা জানিয়েছেন।
কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ শাখায় এখন তিনটি সংস্থার তৈরি পৃথক পৃথক দৈর্ঘ্যের ট্রেন চলে। ওই সব ট্রেনের দরজার পরিসর ও অবস্থানের ক্ষেত্রেও পার্থক্য রয়েছে। মোটামুটি ১৮০ মিটার দীর্ঘ প্ল্যাটফর্মে আলাদা আলাদা মাপের ট্রেন চালকেরা তাঁদের সুবিধা অনুযায়ী সামনে এবং পিছনে জায়গা রেখে দাঁড় করাচ্ছেন। তাতে প্রায়ই যাত্রীদের ওঠানামা করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। উপরন্তু, ফাঁকা জায়গায় স্বয়ংক্রিয় গেট না থাকায় ওই গার্ডরেল বসানোর মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে বলে দাবি যাত্রীদের বড় অংশের।
মেট্রোর প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত এই ব্যবস্থাকে ‘খামখেয়ালি’ সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থায় গার্ডরেল বসিয়ে অর্থের অপচয় হয়েছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পুরো ব্যবস্থাটি পরীক্ষামূলক। যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’