বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কে খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, একই ব্যাঙ্কের অন্য ব্রাঞ্চে এই ৭ জন ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা ঢুকেছে এবং তা তুলে নেওয়া হয়েছে। কী করে এই অদ্ভূতুড়ে অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হল, তা নিয়েই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরজিৎ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, ১৪৭ ছাত্রছাত্রীর তরূণের প্রকল্প আওতাধীন হয়ে ট্যাব পাওয়ার কথা। তারমধ্যে ৭ জন ছাত্রছাত্রীর এই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে যে ওই ৭ জন ছাত্রছাত্রীর টাকা একই ব্যাঙ্কের উত্তর দিনাজপুরের এক শাখার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এবং তা তুলেও নেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটতে পারে তা নিয়ে আমরাও ধোঁয়াশায়। বিষয়টি নিয়ে আমরা সাইবার থানার দ্বারস্থ হয়েছি। পুলিসকে জানিয়েছি ঘটনার তদন্ত করার জন্য। প্রসঙ্গত, জেলায় জেলায় ট্যাব দুর্নীতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একই ছবি ঝাড়গ্রামেও। ঝাড়গ্রাম জেলায় ১১টি স্কুলে ট্যাবের টাকা গায়েব।
১১টি স্কুলের ৫০টি অ্যাকাউন্ট থেকে এই ট্যাবের টাকা সরানো হয়েছে বলে প্রথমিক তদন্তে পাওয়া গিয়েছে। এই ৫০টি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জেলা শিক্ষা দফতর। ঝাড়গ্রাম ব্লক, নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল এবং বিনপুর ব্লকের মোট ১১টি স্কুল থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বেশি তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, রাজ্যে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য মাথা পিছু ''তরুণের স্বপ্ন'' প্রকল্পে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।