ঘটনা ঠিক কী? চব্বিশের লোকসভা ভোট তখন দোরগোড়ায়। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বরানগরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। শুধু তাই নয়, কলকাতা উত্তরে তাঁকে প্রার্থীও করেছে গেরুয়াশিবির। স্রেফ একই মঞ্চে থাকা নয়, রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে তাপসকে দরাজ সার্টিফিকেটও দিয়েছিলেন কুণাল। বলেছিলেন, 'তাপস রায় আমার প্রিয় কিন্তু এখন অন্য দলে। তাপস রায় ভালো লোক, দক্ষ সংগঠক। কী করে তাঁকে খারাপ লোক বলব? অন্য দলে গিয়েছেন বলে খারাপ বলতে পারব না'। এমনকী, আক্রমণ করেছিলেন কলকাতা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও।
কুণালকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। এরপর যখন দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ পড়েন, তখন অনুগামীদের সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। বলেছিলেন, 'পদে নয়, পথে আছি। যেখানে তৃণমূল, যেখানে তৃণমকর্মীরা, দেওয়াল লিখনের কর্মী, বুথকর্মী কুণাল ঘোষ তাঁদের সঙ্গে আছে এবং থাকবে'।
এদিকে সামনেই রাজ্যের ৬ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন। প্রচারের শেষবেলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল। দেখা গেল, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে যে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে শাসকদলের ৩ প্রতিনিধি, সেই অভিযোগপত্রে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই স্বাক্ষর করেছেন কুণাল।