• যৌনতায় জোরাজুরি, মদ খেতে চাপ! রাগে যৌনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে উস্তির বিজেপি নেতাকে ‘খুন’, ধৃত মহিলা
    প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: প্রায় চারদিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার মধ্যরাতে উস্তির (Usthi) দলীয় কার্যালয় থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের দাবি, বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সোশাল মিডিয়া কনভেনর পৃথ্বীরাজ নস্করের খুনের নেপথ্যে রাজনীতি নেই। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই খুন হয়েছেন উস্তির বিজেপি কর্মী। ইতিমধ্যে এক মহিলাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

    ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুন কুমার দে জানান, এই খুনের ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সুজাতা পোদ্দার নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত মহিলা জানিয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ওই বিজেপি কর্মী। তাঁকেও মদ খাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল পৃথ্বীরাজ। যৌন সংসর্গ করতেও তাঁকে জোরাজুরি করা হয়। তখনই ওই মহিলা টেবিলে পড়ে থাকা ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গে আঘাত করেন। প্রচন্ড রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মীর।

    ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিজেপি কর্মী। সেদিন বিকেলের পর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দুদিন অপেক্ষা করেও পৃথ্বীরাজের কোনও খোঁজ না পেয়ে, ৭ অক্টোবর উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। মৃত কর্মীর বাড়ির কাছেই রয়েছে বিজেপি পার্টি অফিস। পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার রাতে বাড়ির জানলা দিয়ে উঁকি মারতেই একজনের দেহ চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কিন্তু গেটে তালা দেওয়া থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারেননি। পুলিশ এসে তালা ভেঙে পৃথ্বীরাজের রক্তাক্ত দেহ বেঞ্চের উপর পড়ে থাকতে দেখে। পৃথ্বীরাজের বাবার অভিযোগ ছিল, তাঁর ছেলেকে শাসকদলের হাতেই খুন হতে হয়েছে। 

    কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল সেই রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। শুরু হয় খোঁজখবর। পৃথ্বীরাজের দেহের কাছে কোনও ফোন পাওয়া যায়নি। পুলিশ মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ওই নেতার দুই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই মতো তাঁদেরকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদেই ভেঙে পড়েন সুজাতা। স্বীকার করে নেন অপরাধের কথা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)