আর একদিন পরই বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর তার প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যাওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। সেই তোপে উঠে আসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ। কারণ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে বলে সুর চড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক বাতাবরণ।
কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপি নয়, ভোট দিন তৃণমূল কংগ্রেসকেই। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেও কার্যত একই সুর বজায় রাখলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একমাত্র বাংলাতেই মহিলাদের জন্য প্রত্যেক মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয়। অন্যান্য রাজ্যে শুধু প্রতিশ্রুতিই দেওয়া হয়। টাকা মেলে না।’ এখন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হয় বলে প্রচারে উঠে এসেছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। আর ২৩ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সেখানে আজ পৌঁছেই বাগডোগরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগেন, ‘মহারাষ্ট্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ‘মিথ্যা’ প্রচার করা হচ্ছে। ভারতের অন্য কোনও রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রত্যেক মাসে টাকা দেওয়া হয় না। প্রচারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি অসত্য প্রতিশ্রুতি দেয়। অন্য কোনও রাজ্যের বিষয়ে টিপ্পনী কাটতে চাই না। নির্বাচনের আগে এসব মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে নিশ্চয়ই চাইব যেন মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেন।’
এছাড়া মহারাষ্ট্রের নির্বাচন পর্বে বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ধাঁচে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার চালু করে ‘লাডলি বহিন’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে মহিলাদের প্রত্যেক মাসে দেড় হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যেই আবার একনাথ শিন্ডে প্রতিশ্রুতি দেন, বিধানসভা নির্বাচনে জিতলে এই ভাতার পরিমাণ ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,১০০ টাকা করা হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই বিষয়ে বক্তব্য, ‘আমি সবসময় চাই দার্জিলিং ভাল থাকুক। তরাই, ডুয়ার্স, চা–বাগান সব ভাল থাকুক। সব মানুষ ভাল থাক। আমি কোনও রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। তবে আবেদন জানাব বিজেপিকে একটাও ভোট নয়।’ বাগডোগরা থেকে সড়কপথে কার্শিয়াংয়ের রিচমন্ড হিলে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।