'অশোক স্তম্ভ খুলে চটি বসাতে' বলে রোষানলে সুকান্ত, ৫ ঘণ্টায় উত্তর চাইল কমিশন
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ নভেম্বর ২০২৪
অশোক স্তম্ভ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের রোষানলে পড়লেন সুকান্ত মজুমদার। সোমবার দুপুর ২ টো ৫৯ মিনিটে কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, অশোক স্তম্ভ নিয়ে যে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্তের বিরুদ্ধে, তা নিয়ে রাত আটটার মধ্যে জবাব দিতে হবে। অর্থাৎ পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে সুকান্তের থেকে জবাব চেয়েছে কমিশন। আর সেই নোটিশ জারি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের পরে। রাজ্যের শাসক দলের তরফে অভিযোগ করা হয়, পুলিশের আধিকারিকদের 'অশোক স্তম্ভ খুলে চটির প্রতীক বসাতে' বলেছিলেন সুকান্ত।
আর সুকান্ত সেই মন্তব্য করেছিলেন গত ৭ নভেম্বর। বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারের সময় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেছিলেন, ‘ভোটে তো আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই নয়। পুলিশের সঙ্গে লড়াই। পুলিশ সরিয়ে দিলে ১৫ মিনিটও তৃণমূল কংগ্রেস বলে কোনও পার্টি থাকবে না, কোনও রাজনৈতিক দল থাকবে না। আমি পুলিশকে বলতে চাই, পরিষ্কার করে শুনে রাখুন, সময় আসছে। মনে রাখবেন, চিরকাল কাহারও সমান নাই যার। কখনও নৌকার উপরে গাড়ি ওঠে। কখনও গাড়ির উপরে নৌকা ওঠে।'
সেখানেই থামেননি বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত। তিনি আরও বলেন, ‘তাই পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যদি দালালি করতে হয়, তাহলে খাঁকি ছাড়ুন, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে রাস্তায় নেমে রাজনীতি করুন। কত দম আছে, আমরা দেখে নেব। কিন্তু পুলিশের উর্দি পরে তৃণমূলের হয়ে দালালি করবেন না।’
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আর তৃণমূলের হয়ে দালালি করলে পুলিশের যে টুপিটা পরেন, ঘাড়ে যে অশোক স্তম্ভটা পরেন, সেই অশোক স্তম্ভটা টুপি থেকে খুলে রাখুন। একটা হাওয়াই চটির প্রতীক ওখানে লাগিয়ে নিন। জনগণ বেশি সম্মান করবেন। জনগণ তো এটা অন্তত বলবে যে ফুট ফাটিয়ে তৃণমূল করছে। বুক ফুলিয়ে তৃণমূল করছে।’
আর সেই মন্তব্য নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। কমিশনে নালিশ ঠোকার পরে তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীভাবে অশোক স্তম্ভকে নিয়ে এরকম মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখান? দরকারে তাঁকে ডেকে পদত্যাগ করতে বলুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও নিজের অবস্থানে অনড় থেকে সুকান্ত দাবি করেন, যে পুলিশকর্তারা তৃণমূলের দালালি করেন, তাঁদের অশোক স্তম্ভ রাখার যোগ্যতা নেই।