কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরজি কর ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার একটি প্রতীকী মূর্তি রাখা হয়েছিল। সেটা ভেঙে টুকরো টুকরো করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদের চিহ্ন হিসাবে ‘দ্রোহের গ্যালারি’ তে দুটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, একটি ডাক্তারের ইউনিফর্ম পরা এবং অন্যটি শাড়ি পরিহিতা।
রবিবার সকালে গ্যালারির মাঝখানে স্থাপিত মূর্তিটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন জুনিয়র ডাক্তাররা, তবে তাঁরা নিশ্চিত নন যে এটি দুর্ঘটনা নাকি ভাঙচুরের কাজ।
পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি এবং বাকি মূর্তিটি গ্যালারি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে খবর। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিচার শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ এবং ৬৬ ধারা এবং ১০৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
৯ অগস্ট ঘটনার পর থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ চলছে। তারা এই মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এবং সরকারকে এই ঘটনার দায় নিতে হবে এবং তাদের দাবিগুলি মেনে নিতে বলেছে, যার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, কিছু কর্মকর্তাকে অফিস থেকে অপসারণ করা এবং রাজ্যের হাসপাতালগুলির সংস্কৃতি সম্পর্কে তদন্ত করা।
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস চিকিৎসকদের প্রতিবাদের সমালোচনা করেছে মাঝেমধ্যেই। এই সব প্রতিবাদের পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবি করেছে শাসকদল।
এদিকে আরজি কর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় আগেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে তাকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে। তার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে আদালতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী জানান, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষকে বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে সিবিআই। তাঁকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে না। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। তবে সেই আবেদনকে মান্যতা দেননি বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত। তাদের এড়িয়ে এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না হাইকোর্ট। জামিনের আবেদন নিম্ন আদালতেই করতে হবে সন্দীপ ঘোষকে।
সব মিলিয়ে এবার একদিকে সঞ্জয় রায় ও অপরদিকে অন্য মামলায় সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে আদালত কী সিদ্ধান্ত জানায় সেদিকে তাকিয়ে আছেন অনেকেই।