দূষণমুক্ত করার পরীক্ষায় টেনেটুনে পাস করল কলকাতা,উৎসবের পরে কতটা বিষমুক্ত বাতাস?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১১ নভেম্বর ২০২৪
এবারের কালীপুজোয় দূষণ নিয়ে ভয়াবহ উদ্বেগ ছড়িয়েছিল কলকাতায়। এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছিল যে দিল্লির দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিতে নেমে পড়েছিল কলকাতা। তবে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছট চলে গিয়েছে। আশার কথা একটাই ফের কিছুটা হলেও স্বচ্ছ হচ্ছে কলকাতার বাতাস। শহর কলকাতার বাতাসের মান আবার কিছুটা হলেও আশা যোগাচ্ছে শহরবাসীর মনে। পরিসংখ্যান বলছে কলকাতার বাতাসে ক্ষতিকর দূষণকণার মাত্রা ক্রমেই কমছে। আবার বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
এই দূষণকণা নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। তার জেরে নানা কঠিন রোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। কেউ সাময়িকভাবে অসুস্থ হন। কারোর ফুসফুসে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধে কঠিন রোগ। এনিয়ে বার বারই উদ্বেগ ছড়িয়েছে কলকাতায়।
দূষণ নিয়ে মাত্রার একটা বড় দিক হল পিএম ১০ আর পিএম ২.৫। যে সমস্ত দূষণকণার ব্যস আড়াই মাইক্রন বা তারও কম তাদের বলা হয় পিএম ২.৫। আবার যাদের ব্যস ১০ মাইক্রনের কম সেগুলি হচ্ছে পিএম ১০। মূলত গাড়ির ধোঁয়া, শিল্প কারখানার ধোঁয়া থেকে এই পিএম ১০ তৈরি হয়।
এদিকে এবার কলকাতায় বাতাসের মানকে যাতে উন্নত করা হয় তার জন্য সরকারি স্তরে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, মিস্ট ক্যানন, ওয়াটার স্প্রিংক্লার দিয়ে বাতাসে ভাসমান দূষণকণা নামিয়ে এনেছি। তাতে সুফল মিলেছে। এতদিন কালীপুজোর পরে কলকাতার বাতাসের মান থাকত মডারেট। এবার মান হয়েছে স্যাটিসফ্যাকটরি।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বাতাসের মান সন্তোষজনক হয়েছে। কিন্তু আমরা সন্তুষ্ট নই। স্য়াটিসফ্যাকটরি থেকে বাতাসের মানকে গুড করতেই হবে।
অন্যান্য বছর দেখা যায় কালীপুজোর পরে কলকাতায় পিএম-১০ এর মান কোথাও থাকে ১০০, কোথাও থাকে ১১০। তবে এবার কোথাও রয়েছে ৯৯, কোথাও আবার ৯১।
পরিসংখ্য়ান বলছে বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিকাল মিউজিয়াম সংলগ্ন এলাকায় বাতাসের মান সন্তোষজনক-৯৯। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাছে বাতাসের মান ৯৩ সন্তোষজনক। রবীন্দ্র সরোবরের কাছে বাতাসের মান ৫৯, সন্তোষজনক। ফোর্ট উইলিয়ামের কাছে বাতাসের মান ৯২।
তবে নামে সন্তোষজনক হলেও কার্যত একেবারে বর্ডারলাইনে রয়েছে দূষণের মাত্রা। একটু এদিক-ওদিক হলেই দূষণের মাত্রা বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এই সন্তোষ কতটা দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তি দেবে তা নিয়ে অবশ্য চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।