কথা ছিল এক ঠিকাদার তিন বছরের জন্য মিড ডে মিলের সামগ্রী সরবরাহ করবেন। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই তাঁকে মিড ডে মিলের সামগ্রী সরবরাহ করতে বারণ করে দেওয়া হয়। তাঁর চুক্তিও কার্যত বাতিল করা হয়েছিল। এরপরই আদালতে গিয়েছিলেন ওই ঠিকাদার। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই ঠিকাদারের চুক্তি বাতিল করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কর্মাধ্যক্ষ আগে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা বাতিল করে নতুন নির্দেশ দেন বিচারপতি।
ঠিকাদারের চুক্তি বাতিল করেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। মিড ডে মিলের সামগ্রী বাতিলের চুক্তি বাতিল করেছিল পঞ্চায়েত সমিতি। তবে এবার কলকাতা হাইকোর্ট সেই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিল।
সূত্রের খবর, নদিয়ার পঞ্চায়েত সমিতির এক ঠিকাদারের সঙ্গে ৩ বছরের জন্য মিড ডে মিলের চাল ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করার চুক্তি করা হয়েছিল। কথা ছিল সরকারি গুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করে নিজের গুদামে মজুত করবেন ওই ঠিকাদার। এরপর সেই চাল তিনি বিভিন্ন স্কুলে সরবারহ করবেন। প্রথম মাসে তিনি চুক্তি অনুসারে চাল সরবরাহ করেছিলেন। কিন্তু তারপরেই প্রথমে তিন মাসের জন্য ও পরে পুরোপুরি তার চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয় কর্মাধ্যক্ষের তরফে। এদিকে ঠিকাদারের আইনজীবীর দাবি কোনও নোটিস না দিয়ে কোনওরক আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার পরেই আগের যিনি সরবরাহকারী ছিলেন তাদের সঙ্গে চুক্তি করে পঞ্চায়েত সমিতি। এরপরই আদালতে গিয়েছিলেন ঠিকাদার ।
শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল যে একতরফাভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে পঞ্চায়েত সমিতি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে ঠিকাদারের আইনজীবীর দাবি ছিল ধুবুলিয়ার বিডিওর উপস্থিতিতে ঠিকাদার ও পঞ্চায়েত সমিতির মধ্য়ে ওই ব্লকের স্কুলগুলিতে তিন বছরের জন্য মিড ডে মিল সহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহের চুক্তি করা হয়েছিল। কিন্তু একমাস পরেই সেই চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়।
রাজ্য সরকারের তরফে এনিয়ে আদালতে বলা হয়েছিল যে সরকারিভাবে কোনও চুক্তি হয়নি। তাছাড়া মামলাকারী চুক্তির নিয়ম ও শর্ত মেনে কাজ করছিলেন না। তবে আদালত কর্মাধ্যক্ষের নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। সেকারণে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।