চিঠিতে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রণবীর দাবি করেছেন, আসানসোল পুরনিগমে এখনও পর্যন্ত পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিডব্লিউডির মতো গুরুত্বপূর্ণ কমিটি-সহ কোনও কমিটিই গঠন করা হয়নি। ব্যাঙ্ক থেকে পুরনিগমের ৪০ লক্ষ টাকা কী ভাবে উধাও হয়ে গেল, তা নিয়েও চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মামলাগুলি সম্বন্ধে সেভাবে অবগত করা হয় না বলেও অভিযোগ তাদের। পুর প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল কাউন্সিলর রণবীর বলেন, “সাধারণ গরিব মানুষ যাঁরা বার্ধক্য ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা পান, তাঁরা সেগুলি নিয়মমাফিক পাচ্ছেন না। কারণ পুরনিগমের কর্মচারীরা কাজই ঠিক ভাবে করছেন না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পয়সা পাঠাচ্ছেন। পয়সাগুলো বিভিন্ন ভাবে উধাও হয়ে যাচ্ছে। কখনও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, কখনও কর্মচারী টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ গরিব মানুষ তাঁদের ভাতা পাচ্ছেন না।”
এই প্রসঙ্গে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আসানসোল পুরনিগম শুধু নয়, রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরেই চলছে লুটের রাজ।” তৃণমূল কাউন্সিলর রণবীরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “উনি নিজের শিরদাঁড়া বিক্রি করেননি। তাই তাঁকে স্যালুট জানাই। আসানসোল পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে যেন ওই কাউন্সিলরকে আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হয়।”