চার বছর আগে ভাটপাড়া পুরসভার একটি মামলায় অর্জুনকে মঙ্গলবার তলব করেছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। নোটিসে জানানো হয়েছিল, ১২ নভেম্বর সকাল ১১টার মধ্যে ভবানী ভবনে আসতে হবে পদ্মনেতাকে। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন অর্জুন। তাঁর আইনজীবী বাঁশরী স্বরাজের আবেদন ছিল, ভোটের আগে তাঁর মক্কেলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ডাকা হচ্ছে। নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। নোটিস খারিজ এবং রক্ষাকবচ চেয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে আবেদন করেছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ।
সোমবার অর্জুনের মামলার শুনানিতে আদালত জানাল, ১২ নভেম্বর ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে হবে না বিজেপি নেতাকে। তবে তার পরিবর্তে ১৪ তারিখ, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাজিরার দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালতই। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাকে এ-ও জানিয়েছে, চার ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না অর্জুনকে। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। ওই দিন সকাল ১১টায় হাজিরা দিতে হবে অর্জুনকে। আদালত সিআইডিকে আরও জানিয়েছে, ১৪ তারিখের পর যদি আবার অর্জুনকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন থাকে তবে নভেম্বরের শেষের দিকে তলব করতে পারে।
বস্তুত, এক সময়ে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকার পাশাপাশি ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কেরও চেয়ারম্যান ছিলেন অর্জুন। কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে প্রচুর টাকার দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ২০২০ সালে ভাটপাড়া পুরসভায় প্রায় চার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদের। সেই মামলাতেই সিআইডি তলব করেছে অর্জুনকে।