ওই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ডায়মন্ড হারবার থানায় দুই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা থেকে দুই তরুণীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারির পরে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধৃতেরা। অভিযোগ ছিল, পুলিশি হেফাজতে তাঁদের মারধর করা হয়েছে।
মামলাটি প্রথমে উঠেছিল হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চে। পুলিশের উপর অনাস্থার কথা জানিয়ে ওই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের উপর দিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি বলেছিলেন, “যে ভাবে হেফাজতে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে, তাতে পুলিশের উপর আদালতের আর ভরসা নেই। তাই ওই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক।’’
পরে মামলাটি যায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেও একক বেঞ্চের নির্দেশই বহাল থাকে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল, মামলাকারীর উপর শারীরিক নির্যাতনের স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রেখেছিল।