সোমবার সিআইডির তরফে জানানো হল, শিশু পাচারের অভিযোগের মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এক দিন আগে দুই অভিযুক্ত ধরা পড়েছেন। সব খতিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত। সিআইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমাজমাধ্যম মারফত চলত শিশু পাচারের প্রক্রিয়া। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘সেই সূত্র ধরে আমরাও তথ্য পেয়েছি। তবে এর থেকে বেশি কিছু এখনও আমরা জানতে পারিনি।’’ সিআইডির ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, মূলত সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে নিঃসন্তান দম্পতির খোঁজ করতেন পাচারকারীরা। সমাজমাধ্যমেই চলত তথ্য বিনিময়ের কাজ। সেখান থেকে দম্পতির ফোন নম্বর নিয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হত শিশু।
শালিমার স্টেশনে ধৃত মুকুল এবং মানিকের কাছ থেকে দু’দিন বয়সি একটি শিশুও উদ্ধার করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটিকে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফা করেছিলেন ধৃতেরা। সিআইডির দুই আধিকারিক ‘নকল’ দম্পতি সেজে যোগাযোগ করেছিলেন ওই পাচারকারীদের সঙ্গে। রবিবার হাওড়ার শালিমার স্টেশনে শিশুটিকে নিয়ে দুরন্ত এক্সপ্রেস থেকে নামতেই মানিক-মুকুলকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। তাঁরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গয়া থেকে ওই শিশুকন্যাকে এনেছিলেন তাঁরা। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে শিশুকল্যাণ কমিটির মাধ্যমে হাওড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মানিকের বয়স ৩৮ বছর। মুকুলের বয়স ৩২। তাঁরা কলকাতার ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও শিশু পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই চক্রে আর কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছেন সিআইডি আধিকারিকেরা।