অভিযোগের সুরে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ৮ নভেম্বর চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক-সহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের জন্য সাক্ষাতের আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল। সেই লিখিত আবেদনের কোনও জবাব দেয়নি কমিশন। ৯ নভেম্বরও সাক্ষাতের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল বাংলার শাসকদলের তরফে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও কোনও জবাব পাননি তারা। এমনকি কমিশনের তরফে চিঠি প্রাপ্তিস্বীকারটুকুও করা হয়নি।
শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের পাঁচ জন প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে তাঁদের দাবিপত্র জমা দিয়ে এসেছেন বলেও কমিশনকে জানানো হয়েছে। ‘মৌলিক সৌজন্য’ দেখিয়ে নামমাত্র ভাবে উপনির্বাচনের প্রচার শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কমিশনকর্তাদের সাক্ষাৎ যে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের মনঃপুত হয়নি, তাও চিঠি সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাদের অসীম সম্মান রয়েছে। কিন্তু কমিশনের গত তিন দিনের ব্যবহার ভারতীয় সংসদের তৃতীয় শক্তি তৃণমূলের প্রতি ইতিবাচক ছিল না বলেই চিঠির শেষাংশে আক্ষেপের সুরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।