৯ থেকে ১৪ নভেম্বর গুয়াহাটি, ভুবনেশ্বর, কলকাতা, পটনা, লখনউয়ে সফর করার কথা ছিল জেপিসির ৩১ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচ জনের। গুয়াহাটি এবং ভুবনেশ্বর গিয়েছেন সদস্যেরা। ১২ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত কলকাতা, পটনা, লখনউতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল সদস্যদের। সেই সফর পিছিয়ে দিল লোকসভার সচিবালয়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বলেন, ‘‘ আমাদের চাপে সফর বাতিল করতে বাধ্য হল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘৩১ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচ জন সফরে গিয়েছেন। যে দু’টি শহরে ওই পাঁচ জন ঘুরেছেন, আমাদের কথা আগে শুনলে এটাও হত না। অতীতে কোনও জেপিসিকে কখনও সফর বাতিল করতে হয়নি।’’ এর পর তিনি জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জেপিসির চেয়ারম্যান সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হাস্যাস্পদ জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন।’’
এর আগে জেপিসির সফর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে ইমেল করেছিলেন কল্যাণ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ৩১ জন সদস্যের কমিটির মাত্র পাঁচ জনকে নিয়ে কী ভাবে শুরু হতে পারে সফর? সেই ইমেলে জগদম্বিকার দিকে আঙুল তোলেন কল্যাণ। তাঁর দাবি, চেয়ারম্যানের এই অসংবেদনশীল আচরণ শুধু একটি সংসদীয় কমিটির কার্যক্রমকে ‘ব্যঙ্গ’ করাই নয়, সাংবিধানিক নীতিরও বিরোধী। গত সপ্তাহে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলি ওয়াকফ বিল নিয়ে গঠিত জেপিসির পাঁচ রাজ্যের সফর বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়। কলকাতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই ঘোষণা করেন কমিটির সদস্য কল্যাণ।
এর আগে গত ৩ নভেম্বরও লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জেপিসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। কল্যাণদের দাবি ছিল, সপ্তাহে দু’দিন ৯ ঘণ্টা করে জেপিসির বৈঠক হচ্ছে, সাংসদেরা অন্য কোনও কাজই করতে পারছেন না। কল্যাণের দাবি, এই বিষয়টি স্পিকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বললেও তা হয়নি। এর পরেই ওই সফর বয়কটের কথা ঘোষণা করেছিলেন কল্যাণেরা। সফর বয়কট করেছিল কংগ্রেস, ডিএমকে, শিবসেনা (উদ্ধব), এনসিপি (পওয়ার), জেএমএম-সহ ইন্ডিয়া জোটের একাধিক দল। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, জেপিসির বৈঠকে বিজেপির সাংসদেরা প্রায় দিনই অনুপস্থিত থাকছেন।