জেলা শিক্ষা দফতরের বক্তব্য, পুলিশি তদন্তের পরেও যদি ওই টাকা উদ্ধার করা না যায়, তা হলেও ওই সাত পড়ুয়াকে ট্যাব কেনার ব্যবস্থা করে দেবে। জেলায় দায়িত্বে থাকা আধিকারিক দেবাশিস সরকার বলেন, ‘‘শুধু কন্যাপুর নয়, আরও কয়েকটি স্কুলে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সাইবার থানায় জানিয়েছিল। টাকাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তা না-ও করা যায়, তা হলেও যারা ট্যাবের টাকা পায়নি, তাদের আমরা ট্যাব কেনার ব্যবস্থা করে দেব।’’
স্কুল সূত্রে খবর, অতীতেও সরকারি প্রকল্পের অর্থ ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। এ বার কী করে এমনটা হল, তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ব্যাঙ্ক খোঁজ করতে গিয়েই জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের একটি ব্যাঙ্কের সাত অ্যাকাউন্টে সেই টাকা চলে গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। এর পরেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুরজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘১৪৭ ছাত্রছাত্রীর ট্যাব পাওয়ার কথা। তার মধ্যে সাত জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ঢোকেনি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কে খোঁজ করে জানা গিয়েছে, ওই সাত জন ছাত্রছাত্রীর টাকা একই ব্যাঙ্কের উত্তর দিনাজপুরের এক শাখার পৌঁছে গিয়েছে এবং তা তুলেও নেওয়া হয়েছে। আমরা সাইবার থানার দ্বারস্থ হয়েছি।’’