• কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না! বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেলেও এখনও দুর্ভোগে উদয়নারায়ণপুর...
    ২৪ ঘন্টা | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • শুভাশিষ মণ্ডল: উদয়নারায়ণপুরের বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার পরেও দুর্ভোগ কাটেনি উদয়নারায়নপুরবাসীর। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনীতি টানাপোড়েনকে দায়ী করলেন বিধায়ক।

    পুজোর আগেই বন্যার কবলে পড়েছিল উদয়নারায়নপুর। উদয়নারায়নপুরের পুরোটাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল সেই বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও উদয়নারায়নপুরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কাটেনি। বন্যায় রাস্তাঘাট চাষাবাদ জমি নদীর বাঁধ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। জল সরে গেলেও জমিতে পলি পরে থাকায় চাষীদের চাষাবাদ করতে অসুবিধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কেননা পলি না সরিয়ে জমিকে চাষের উপযুক্ত করা সম্ভব নয়। যদিও কৃষকরা জানান পলি সরিয়ে জমিকে চাষের উপযোগী করতে যে খরচ তা পাবো কি করে ৷ ফলে চাষাবাদে যেরকম ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের, তেমনি রাস্তা ঘাট দিয়ে চলাচল-সহ জমিতে ট্রাক্টর নিয়ে যেতে অসুবিধার পড়ছেন উদয়নারায়নপুরের মানুষ জন। কিছু রাস্তাঘাট রিপেয়ারিং শুরু করা গেলেও অধিকাংশ রাস্তা ঘাট এখনও সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ফলে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই এলাকার মানুষকে৷

    মুখ্যমন্ত্রী উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসে প্রশাসনিক স্তরে নির্দেশ দিয়ে যান বন্যার জল সরলেই এলাকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতি চাষাবাদ জমির ক্ষতিপূরণ সহ রাস্তাঘাট যত দ্রুত সম্ভব সারানো হয় তা অতি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। যদিও এই মুহূর্তে উদয়নারায়ণপুরের রাস্তাঘাট সারানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক টানাপোড়নকেই দায়ী করলেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানান ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক থাকলে কৃষি জমিকে পলি মুক্ত করে খুব সহজেই চাষাবাদের উপযুক্ত করা যেত কিন্তু উপায় নেই কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়ার যে নীতি তার ফল ভুগতে হচ্ছে। তিনি জানান প্রায় সাড়ে নয় হাজার হেক্টর কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকদের জানানো হয়েছে শস্য বিমার মাধ্যমে কৃষকরা তাদের প্রাপ্য টাকা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেয়নি সবই রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে দিতে হচ্ছে। তবে কৃষি জমিতে যে পলি পড়ে রয়েছে আমরা সেচ দফতরকে বলেছি রাজ্য সরকার বিষয়টি দেখছেন আমরাও জানিয়েছি দেখা হচ্ছে যে সমস্ত জেলা পরিষদের ঠিকাদাররা কাজ করবে তারা যেন ওই পলি ও বালিটাকেই রাস্তার কাজে লাগাতে পারেন তার একটা চিন্তাভাবনা হচ্ছে।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)