জলপাইগুড়ি জেলা লাগোয়া হলদিবাড়ি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে ধারানগর কলোনির একটি বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। সাত সকালেই এসেই বাড়িটিকে ঘিরে ফেলা হয়। বাড়িতে থাকেন বিশ্বজিত্ বর্মন, তাঁর মা রাখী বর্মন, বিশ্বজিতের ভাই ও বোন। এনআইএর আহমেদাবাদ শাখায় একটি নাশকতার অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানে নাম রয়েছে বিশ্বজিত্ বর্মনের। এমনটাই সূত্রের খবর। বিশ্বজিতের পরিবার খুবই গরিব। বিশ্বজিত্ ক্যাটারিংয়ের কাজ করেন। কাজের সূত্রে তিনি বাড়ি ছিলেন না। এনআইএর গোয়েন্দারা তার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সন্দেহজনক কিছু পায়নি বলেই খবর।
বিশ্বজিতের মা রাখী বর্মন বলেন, 'ছেলে বাইরে কাজে গিয়েছে। ওরা এসেছিল। সব খোঁজাখুঁজি করে দেখল। কাগজে সই করিয়ে নিয়েছে।' স্থানীয় সূত্রে খবর রাখী বর্মনের পরিবার খুবই গরিব। রাখীর স্বামী মারা গিয়েছেন। বিশ্বজিত্ ক্যাটারিংয়ের কাজ করে। কোনওরকমে ওদের দিন চলে।
উল্লেখ্য়, গত বছর নভেম্বর মাসে ৪ বাংলাদেশি-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে এনআইএ। এদের মধ্যে ফরিদ নামে এক ভারতীয় নাগরিক ছিল। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এরা দেশ মুসলিম যুবকদের মধ্যে আল কায়দার আদর্শ প্রচার করে, চাঁদা তোলে ও তা আল কায়দার কাছে পাঠায়।