তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে তাঁর এই বিখ্যাত উপন্যাসটি লিখেছিলেন। ১৯৫১ সালে বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর থেকে 'হাঁসুলী বাঁকের উপকথা' উপন্যাসটির খ্যাতি সাহিত্যমহলে ছড়িয়ে পড়ে। বলতে গেলে তারাশঙ্করের উপন্যাসের সুবাদেই বীরভূমের খুব স্থানিক এই অংশটি বিখ্যাত হয়ে পড়ে। কিন্তু লাভপুরের ভূমিপুত্র তারাশঙ্করের সেই সুবিখ্যাত ও বহুচর্চিত হাঁসুলি বাঁক এখন বালি মাফিয়াদের দখলে!
অভিযোগ, প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেখানে দিনের পর দিন ধরে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বালি তুলছে বালি মাফিয়ারা। বহু ট্রাক্টর নদীর পাড় কেটে নদীতে নেমে অবৈধভাবে বালি তুলছে। হাঁসুলি বাঁকের উপকথা রচনায় তুলে ধরা হয়েছে কুয়ে নদীর সাতটি বাঁকের কথা। বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে সেই নদীর পথ ঘুরে যাচ্ছে।
এর আগেও একাধিকবার বালির মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সেখানে বারবার অবৈধভাবে বালির তুলে চলেছে বালি মাফিয়ারা। এ বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করেন লাভপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুয়ে নদীর হাঁসুলি বাঁককে পর্যটককেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০২১ সালে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়-সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে এলাকা পরিদর্শন করে যান। পর্যটককেন্দ্র কীভাবে গড়ে তোলা হবে, সেই বিষয়ে আলোচনাও হয়েছিল। পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার অনেক কাজ এগিয়েছে। বাকি কাজ করার জন্য আনুমানিক ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার একটা এস্টেমেট পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সেই টাকা বরাদ্দের মুখে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এহেন জায়গায় এ কী চলছে? কবে সুরাহা এর?