অর্ণবাংশু নিয়োগী: ১২ নভেম্বরের বদলে ১৪ নভেম্বর। হাইকোর্টে গিয়েও সিআইডি-র নোটিসের হাজিরা এড়াতে পারলেন না অর্জুন সিং। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, ভবানীভবনে হাজিরা দিতে হবে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদকে। তাঁকে চার ঘণ্টা জেরা করতে পারবেন তদন্তকারীরা। এমনকী, তদন্তের প্রয়োজনে অর্জুনকে ফের তলব করতে পারে সিআইডি। তবে সেক্ষেত্রে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ডাকতে হবে।
ঘটনাটি ঠিক কী? তখন চেয়ারম্যান ছিলেন অর্জুন। ২০২০ সালে ভাটপাড়া পুরসভায় চার কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলাতেই ব্যারাকপুরের এই বিজেপিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি। ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে এগারোটায় ভবানীভবনে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অর্জুনকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তিনি।
হাইকোর্টে অর্জুনের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, তাঁর মক্কেলকে নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই নোটিস পাঠানো হয়েছে। নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে। উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে হয়রানির জন্য এই পদক্ষেপ করেছে পুলিস। সঙ্গে আবেদন, সিআইডির ওই নোটিস খারিজ করা হোক এবং তাঁকে রক্ষাকবচ দিক হাইকোর্ট। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল।