পাহাড়ে যাওয়ার আগে মমতা বলেন, প্রায় বছর দেড়েক বাদে দার্জিলিংয়ে যাচ্ছি। কার্শিয়াংয়ে মাঝে একবার গিয়েছিলাম। আমি সব সময় চাই দার্জলিং ভালো থাকুক। তরাই ডুয়ার্স আচ্ছা রহে। সব মানুষ ভালো থাকুক। রাজবংশী, কামতাপুরী, গোর্খা, হোক…সবাইকে শুভকামনা জানাচ্ছি।
প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবারের পাহাড় সফর। মঙ্গলবার জিটিএর বৈঠক রয়েছে। এরপর বুধবার সরস মেলার উদ্বোধন।
রোহিনী, সোনাদা সহ বিভিন্ন এলাকায় মমতাকে অভ্যর্থনা জানান অনেকে। জিটিএর বৈঠক রয়েছে কাল। পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে বের হতে পারেন তিনি। পাহাড়ে এলে এটা মমতার একেবারে বাঁধা রুটিন। পাহাড়ে দীর্ঘপথ হাঁটেন তিনি বরাবরই।
প্রায় দেড় বছর পরে পাহাড়ে গেলেন মমতা। মূলত অনীত থাপার দলের লোকজন এদিন মমতাকে অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তার ধারে জড়ো হয়েছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ে তৃণমূল যে বিরাট শক্তিশালী এমনটা নয়। তবে শাসকদল অত্যন্ত কৌশলে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করে। বর্তমানে অনীত থাপার উপর ভর করে তৃণমূল এলাকায় ঘুঁটি সাজায়। আর ২০২৬এর ভোটের আগে পাহাড়ে কী ধরনের সমীকরণ কাজ করবে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে তার আগে কি পাহাড়ে জল মাপতে গেলেন মমতা?
চারদিনের সফরে গিয়েছেন তিনি। বাগডোগরা হয়ে তিনি গিয়েছেন পাহাড়ে। কার্শিয়াংয়ে গাড়ি থামিয়ে তিনি জনসংযোগ করেন। মঙ্গলবার জিটিএর বৈঠক। আবার একাধিক উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। সেখানে কী প্রতিশ্রুতি দেন, পর্যটন নিয়ে নতুন কি বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে অনেকে।
দার্জিলিং চৌরাস্তায় বুধবার সরস মেলার উদ্বোধন করবেন তিনি। সব মিলিয়ে এবারের কর্মসূচি একেবারে ঠাসা। আর পাহাড় মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জনসংযোগ। মোমো তৈরি করা, স্থানীয় বাচ্চাদের কোলে তুলে নেওয়া। দিদি বলে সাধারণ মানুষের উল্লাস। এসব দেখতেই অভ্যস্ত পাহাড়। অনেকের মতে এবারও সেই নিয়মের অন্যথা হবে না।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বার বার পাহাড় সফর করেছেন মমতা। তবে দার্জিলিংয়ে কোনওদিনই বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি তৃণমূল। এবার কি কৌশল প্রয়োগ করে ঘাসফুল শিবির সেটাই দেখার।