সংবাদদাতা, বোলপুর: পৌষমেলা নিয়ে আগামীকাল, বুধবার বৈঠক ডাকল বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কনফারেন্স হলে বৈঠক হবে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সরেন, এমনটাই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পৌষমেলা করার আবেদন জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে চিঠি লিখেছিল বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি ও কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতি। ব্যবসায়ীরাও আশাবাদী গত বছরের মত এবারও পৌষমেলা আয়োজনে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিনয়বাবু। এমতাবস্থায় ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সেদিকেই নজর সকলের।
ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীতে যে ক’টি বড় উৎসব হয় তার মধ্যে পৌষমেলা অন্যতম। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে সেই ঐতিহ্যবাহী উৎসব বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। উপাচার্য পদে যোগদানের পরের বছর ২০১৯ সালে পূর্বপল্লির মাঠে তাঁর আমলে শেষ পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর করোনা আবহ ও তাঁর অনিচ্ছায় তিন বছর মেলা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ডাকবাংলা ময়দানে বিকল্প মেলা আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এরপর গত বছর সময় কম ও পরিকাঠামগত কারণ দেখিয়ে পূর্বপল্লির মাঠে মেলা করতে চায়নি বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তবে জেলাশাসক বিধান রায়ের উদ্যোগে ও বিশ্বভারতীর সম্মতিতে চার বছর পর সফলভাবে পৌষমেলা হয়। এ বছরও কর্তৃপক্ষ সদর্থক ভূমিকা নেবে এমনটাই মনে করছে বোলপুরের ব্যবসায়ী মহল ও শান্তিনিকেতনের হস্তশিল্পীরা। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও আধিকারিকরাও পৌষমেলা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় খুশির হওয়া শান্তিনিকেতনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, মেলার আয়োজন নিয়ে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বভারতী পরিবার সব সময় চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য বজায় থাকুক। তবে স্থায়ী উপাচার্য না থাকার কারণে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে কর্তৃপক্ষ ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করে। তবে আমি আশাবাদী, এ বছরও ঐতিহ্য বজায় থাকবে।