• মন্দিরে চুরির ঘটনায় পুলিসের জালে বানজারা গ্যাং঩য়ের তিন
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়: কখনও ভিক্ষাবৃত্তি আবার কখনও গ্রামে ঘুরে বাদুড়, চামচিকে ধরে বেড়ায়। সেই ফাঁকেই দুপুরে রেকি করে আসে। রাত হলেই মন্দিরে গিয়ে তালা ভেঙে বিগ্রহের গয়না চুরি করে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, ভাতার, গলসি এলাকায় একের পর এক মন্দিরে সোনার গয়না চুরির অভিযোগে বানজারা গ্যাংয়ের তিনজনকে পাকড়াও করল পুলিস। রবিবার রাতে আউশগ্রামের ভেদিয়ার অবন সেতুর কাছে তাদের ধরা হয়। গ্রামের ছোট মন্দিরগুলিই তাদের মূল টার্গেট ছিল। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম উদয় বেজ, পবন বেজ ও সুলতান বেজ। বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়া থানায় আহমদপুর এলাকায়। সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অতিরিক্ত পুলিস সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 


    আউশগ্রামে দু’দিনের ব্যবধানে দু’টি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি হয়। কালীপুজোর দু’দিনে দেয়াশা ও ব্রজপুর, গলসির খানো, ভাতারের ওড়গ্রামে তিনটি কালীমন্দির, আমারুনের কালীমন্দিরে হানা দেয় বানজারা গ্যাং। কালী মন্দিরে মায়ের সোনা ও রুপোর গয়না চুরি করে বেড়াচ্ছে বীরভূমের ওই দলটি। তারা দিনেরবেলায় খাবার চাওয়ার অছিলায় এলাকায় ঘুরে মন্দিরে রেকি করে আসছে। গভীর রাতে চুরি করছে। বাদুড় ধরার পাশাপাশি মৌমাছির চাকও ভেঙে বেড়ায় তারা। সঙ্গে স্ত্রী ও শিশুদের নিয়ে ঘোরে। আউশগ্রাম-১ ব্লকের গুসকরা পুলিস ফাঁড়ির অধীনেই দেয়াশা ও ব্রজপুর গ্রাম দু’টি। ব্রজপুর গ্রামের কোঁয়ার বাড়ির প্রাচীন কালীমন্দিরের দরজার তালা ভেঙে চুরি হয়েছিল। দেয়াশা গ্রামের দাস পরিবারের কালীমন্দিরে চুরি হয়। পুজো শেষে পরিবারের সদস্যরা মন্দির বন্ধ রেখে বাড়ি চলে যান। পরেরদিন   সকালে তাঁরা মন্দিরের তালা খুলতে গিয়ে সদর দরজার তালা ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মায়ের সোনা ও রুপোর গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। 


    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বানজারাদের নির্দিষ্ট কোনও ঠিকানা থাকে না। যেখানে সেখানে তাঁবু খাটিয়ে থাকে। মহিলারা শিশুদের সঙ্গে নিয়ে গৃহস্থের বাড়িতে চুরি করে বেড়ায়। ধরতে গেলেই কোলে থাকা শিশুদের দেখিয়ে সহানুভূতি আদায় করে পালায়। ধৃতদের মধ্যে উদয় ও পবন এর আগেও আউশগ্রামে চুরির ঘটনায় ধরা পড়েছিল। 
  • Link to this news (বর্তমান)