• নবদ্বীপে মাটি ধসে রাস্তা ঝুলছে শূন্যে, আতঙ্কে ভুগছেন বাসিন্দারা
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: রাস্তার নীচে মাটি ধসে গিয়েছে। বারবার জানিয়েও হয়নি মেরামতি। যে কোনও মুহূর্তে পুরোপুরি ধস নামতে পারে রাস্তায়। ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।এমনটাই আশঙ্কা করছেন নবদ্বীপ ব্লকের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের ফরেস্টডাঙা এলাকার গ্রামবাসীরা। 


    ভাগীরথী তীরবর্তী নবদ্বীপ ব্লকের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের ফরেস্টডাঙা গ্রামে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগই জনমজুর। এঁরা নিয়মিত ব্যবহার করেন নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী সাড়ে সাতশো মিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটি। আনুমানিক বছর ছয় আগে রাস্তাটি তৈরি করেছিল পিডব্লিউডি। মাটি ধসে ঢালাই রাস্তাটির প্রায় একশো মিটার অংশ শূন্যে ঝুলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই রাস্তার পাশের কিছু  গাছ কেটে ফেলেছে কয়েকজন জমির মালিক।এর ফলে রাস্তাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।দিনে দিনে ওই জায়গা থেকে অল্প অল্প করে মাটি ধসে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। শুধু ফরেস্টডাঙা গ্রামের বাসিন্দা নন, পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষও ওই রাস্তা ব্যবহার করেন। 


    গ্রামবাসীদের ধারণা, রাস্তাটির বর্তমান যা অবস্থা তাতে কোনও ভারী যানবাহন যাতায়াত করলে যেকোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর ফলে নবদ্বীপ এবং কৃষ্ণনগরের মধ্যে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হবে গ্রামবাসীদের। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াবে যে, গ্রামবাসীদের গৌরনগর হয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুর পথে যেতে হবে।


     ফরেস্টডাঙামালিতা পাড়ার বাসিন্দা নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী কোয়েল খাতুন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীরা গৌরাঙ্গ সেতু হয়ে নবদ্বীপে যান। শুধু নবদ্বীপ নয়, এই রাস্তা দিয়ে রাজ্য সড়ক ধরে কৃষ্ণনগরেও যান। মূলত নবদ্বীপ যাওয়ার এই একটি মাত্র রাস্তা।রাস্তাটি যদি পুরো ভেঙে যায় তবে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হবে।  


    ফরেস্টডাঙা মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা ভ্যানচালক ইশরাফিল মালিতা বলেন, ভুলবশত কোনও ভারী গাড়ি ওই রাস্তায় ঢুকে পড়লে রাস্তাটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যাবে। মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুরজ চৌধুরী বলেন, রাস্তাটির বেশ কিছু অংশে দু’ দিকে সুড়ঙ্গ হয়ে গিয়েছে। যে কোনও সময় রাস্তাটি ধসে যাবে।বিষয়টি পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি, বিডিও থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেও একাধিকবার জানিয়েছি। এমনকী গ্রামবাসীরা গণস্বাক্ষরিত স্মারকলিপি পঞ্চায়েত এবং বিডিওর কাছে দিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।


    মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণা দাস বলেন, ফরেস্টডাঙার এই রাস্তাটির বিষয়ে আমরা বিডিওকে দু’ মাস আগে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।ওঁরা রাস্তার বিষয়টি জানেন। শীঘ্র রাস্তাটির মেরামতি হবে বলে উনি আশ্বাস দিয়েছেন।এ প্রসঙ্গে এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন,বিষয়টিজেলা স্তরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে।দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)