• হাতির ভয়ে ধান কেটে খামারে তুলতে ব্যস্ত ঝাড়গ্রামের চাষিরা
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: হাতির ভয়ে ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে আমন ধান কেটে খামারে তোলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জেলার প্রায় সমস্ত ব্লকে ধান পেকে গিয়েছে। চাষিরা ধান কেটে সঙ্গে সঙ্গে খামারে এনে জড়ো করছেন। কারণ, হাতির পাল জমিতে ঢুকে পড়লে পায়ে মাড়িয়ে পাকা ধান নষ্ট করে দেবে। তাই চাষিদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই।


    এবছর ঝাড়গ্রাম জেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। নভেম্বর মাসের শেষ নাগাদ বেশিরভাগ জমি থেকে পাকা ধান তোলার কাজ শেষ হবে। জেলা সহ-কৃষি অধিকর্তা(তথ্য) সুকুমার কিস্কু এমনটাই জানালেন। তিনি বলেন, আউশ ধান অক্টোবর মাসের মধ্যে কেটে শেষ করতে হয়। এই ধান যেহেতু নভেম্বরে কাটা শুরু হয়েছে, তাই এই ফসল আমনের আওতায় আসবে।


    বেশ কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে হাতির সংখ্যা কম থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। 


    ৮ নভেম্বর ঝাড়গ্রামে রামরামা জঙ্গল লাগোয়া ধানের জমিতে নয়টি হাতির একটি দল তাণ্ডব চালায়। সেঘটনার কয়েকদিন আগে কংসাবতী নদী পেরিয়ে ৪০টি হাতির একটি বড় দল ঝাড়গ্রামের সর্ডিহা ও চুবকা পঞ্চায়েতে ধানজমিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে ১৬টি হাতি রয়েছে। এর মধ্যে লোধাশুলি রেঞ্জের খাসজঙ্গল এলাকায় ১১টি হাতির একটি দল আছে।


    সোমবার জমিতে ধান কাটছিল রাসুয়া গ্রামের চাষি রঞ্জিত মাহাতর পরিবার। রঞ্জিতবাবু বলেন, যেটুকু ধান জমিতে পাকছে, তা আমরা কেটে তাড়াতাড়ি খামারে তুলে নিচ্ছি। কারণ, কখন হাতি কোনদিক থেকে ঢুকে পড়বে বলা মুশকিল। গুইমারা গ্রামের চাষি স্বপন মাহাত বলেন, জমিতে পাকা ধান দাঁড়িয়ে থাকলে হাতি খুব একটা খায় না। কিন্তু তারা পায়ে মাড়িয়ে বেশিরভাগ ধান নষ্ট করে দেয়। জমিতে এক জায়গায় সব ধান জড়ো করলেও বিপদ। কারণ তা হলে সেই ধান খেতে হাতিদের সুবিধা হয়। তাই আমরা কেউ জমিতে ধান জড়ো করে রাখছি না। সবাই তাড়াতাড়ি ধান খামারে তুলে নিচ্ছি।
  • Link to this news (বর্তমান)