সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে গত কয়েক মাস ধরেই ছাদের চাঙড় মাঝেমধ্যে খসে পড়ছে। এমন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের। যা নিয়ে ক্ষোভ জমছে রোগী সহ চিকিৎসকদের মধ্যেও। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এনিয়ে উপরমহলে অবেদন জানালেও মেরামতের জন্য বরাদ পায়নি এখনও। ইমার্জেন্সি ছাড়াও চিকিৎসকদের রেস্ট রুম, ওয়ার্ডেও একই অবস্থা। পুরুষ ওয়ার্ডের সামনের দিকে ছাদের চাঙড় খসে রড বেরিয়ে রয়েছে বহুদিন ধরে। একইসঙ্গে হাসপাতালের করিডরে ছাদের চাঙর খসে পড়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক সৌরভ সাহা বলেন, জরুরি বিভাগে বসতেই ভয় লাগে এখন। যেকোনও সময় ছাদ থেকে চাঙড় খসে পড়তে পারে। ভয়ে ভয়ে পরিষেবা দিতে হচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসকদের রেস্ট রুম, বাথরুমের অবস্থা একই।
এমন দুরাবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ নকশালবাড়ির বিএমওএইচ ডাঃ কুন্তল ঘোষ। তিনি বলেন, শুধু ইমার্জেন্সি বা ওয়ার্ড নয়। হাসপাতালের সর্বত্রই একই অবস্থা। পুরো বিষয়টি উপর মহলে জানানো হয়েছে। কিন্তু কিছুই হয়নি।
দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলেন, পুরো রিপোর্ট পূর্তদপ্তরে পাঠিয়েছি। তারা এস্টিমেট বানাচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত ফান্ড অনুমোদন হবে। বরাদ্দ এলেই মেরামতের কাজে হাত দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে গ্রামীণ হাসপাতালটি নতুন করে সাজিয়ে তুলতে স্বাস্থ্য ভবন থেকে দু’কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তা দিয়েই হাসপাতাল মেরামত করেছিল পূর্তদপ্তর। জেলার বড় গ্রামীণ হাসপাতাল নকশালবাড়ির এই হাসপাতালটি। নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, মিরিক ব্লক সহ নেপালের রোগীরাও চিকিৎসা পরিষেবা নিতে এখানেই আসেন। দৈনিক হাজার খানেক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবা নেন। হাসপাতালে ৫০টি বেডের অনুমোদন রয়েছে। তবে অতিরিক্ত ২০টি বেডের পরিষেবা আছে।