• প্রতিবেশী শিক্ষকের মারধরে  গুরুতর জখম ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভাণ্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঝাঙ্গিতে। মারধরের জেরে ১২ বছরের ওই ছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে। সোমবার ডাক্তার দেখানোর জন্য তাকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যান বাবা-মা। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চেয়েছেন ছাত্রের অভিভাবকরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। তার দাবি, নাবালক তাঁর ছেলেকে ঢিল মারছিল। তাই তিনি শ্বাসন করেছেন।


    এদিন জখম ছাত্রের মা দিপালী সরকার বলেন, মাঠে আমার ছেলে ও অভিযুক্ত শিক্ষকের ছেলে খেলছিল। তারা একে অপরকে ঢিল মারছিল। হঠাৎ সেই শিক্ষক চিৎকার করে এগিয়ে আসে। কেন ঢিল মারছিস এই কথা বলতেই  আমার ছেলে মাঠ থেকে ফিরে আসে। সেই সময় অভিযুক্ত ওর পিছু নেয়। প্রায় এক কিমি তাড়া করে। আমার ছেলে চা পাতা বাগান দিয়ে ভয়ে দৌঁড়তে থাকে। কিছু দূর পর অভিযুক্ত আমার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। সজোরে চড় মারে। চুলের মুঠি ধরে মারে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আমার ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসেছে। ও জখম হওয়ায় আমরা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঘটনাটি ঘটেছে ৯তারিখ। সোমবার ও বলে, শুনতে সমস্যা হচ্ছে। মাথাব্যথা করছে। তাই তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি নিয়ে যাই ডাক্তার দেখাতে। আমরা অভিযুক্তর শাস্তি চাই। 


    এদিকে অভিযুক্ত বলেন, ১২ বছরের একজন ছাত্র গুটকা খাচ্ছিল।  সে পাথর দিয়ে ঢিল মারছিল। আমি শ্বাসন করেছিলাম। আমাকে বাজে কথা বলেছে। এই বিষয়ে জানতে পেরে ওর মা আমাকে মারধর করেছে। 


    ওই ছাত্রের মামা রামপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, একজন শিক্ষক শাসন করতেই পারেন। তবে বেধড়ক মারধর করবে, এটা হতে পারে না। এখনও বাচ্চাটির  গলা ব্যথা। মাথাব্যথা। কানে সমস্যা হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।


    ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)