নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বাজারে জ্যোতি আলু ৪০ টাকা কেজি! রাজ্য সরকার সুফল বাংলার মাধ্যমে ২৫ টাকায় আলু বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে। সেইমতো ক্রেতারা সস্তায় আলু কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন সুফল বাংলার স্টলে। কিন্তু সোমবার দিনভর জলপাইগুড়ি শহরে সুফল বাংলায় কোনও আলু মিলল না। ক্রেতারা এসে ফিরে গেলেন। এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। ক্রেতাদের অভিযোগ, জিজ্ঞেস করায় স্টলের কর্মীরা বলেছেন, ২৫ টাকায় বিক্রি করে কী লাভ হবে, সেকারণেই আলু রাখা হচ্ছে না। ক্রেতাদের আরও অভিযোগ, জলপাইগুড়িতে সুফল বাংলার স্টলে এদিন বিক্রি হওয়ার সব্জির মানও ভালো ছিল না। বেগুন, লাউ, স্কোয়াশ এসব সব্জির গুণমান নিয়ে ক্রেতারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাজারে ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এদিন সুফল বাংলায় তা বিক্রি হয় ৭৩ টাকায়। কৃষি বিপণন দপ্তরের অবশ্য দাবি, সকালে আলু ছিল। দুপুরে বিক্রি হয়ে যায়। পরে আলু ঢুকেছে। ক্রেতাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়েই এদিন দুপুরে হানা দেন জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী। তিনিও এসে দেখেন, সুফল বাংলায় আলু নেই। ক্রেতারা ফিরে যাচ্ছেন। কেন আলু নেই? মহকুমা শাসকের প্রশ্নের জবাবে স্টলের কর্মী সঞ্জয় রাই আমতা আমতা করে বলেন, ‘সন্ধ্যায় আলু ঢোকার কথা।’ সুফল বাংলায় যে বাজে মানের সব্জি রেখে দেওয়া হয়েছে, তা নজর এড়ায়নি এসডিও’র। এনিয়ে কড়া ধমক দেন তিনি। দ্রুত সেগুলি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। কিছুক্ষণ পর চলে আসেন কৃষি বিপণন দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা দেবাঞ্জন পালিত। তাঁকে এসডিও বলেন, দ্রুত স্টলের মালিককে শোকজ করুন। এদিকে, এদিন হিমঘর মালিক ও আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) পুষ্পক রায়। তিনি বলেন, এখনও হিমঘরে ১৮ শতাংশ আলু মজুত রয়েছে। ব্যবসায়ীদের বলে দেওয়া হয়েছে, খুচরো বাজারে ২৮-৩০ টাকার বেশি দরে কোনওভাবেই আলু বিক্রি করা যাবে না।