• ঘন কুয়াশার জন্য হাওড়া ডিভিশনে কমছে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনের গতি
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছটপুজো শেষ। শীতের মরশুম উঁকি দিতেই রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের পালা বাড়তে চলেছে। সৌজন্যে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে ট্রেন চালকদের দেখার সমস্যা হয়। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ঠান্ডার সময় যাত্রীসুরক্ষায় নিয়ন্ত্রিত গতিতে ট্রেন চলবে। অর্থাৎ ঘন কুয়াশায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই জোনে গতি হারাবে লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনগুলি। স্বভাবতই গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হবে সবার। চরম হয়রানির শিকার হবে আম জনতা। 


    যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিবছরই রেলের তরফে অ্যান্টি ফগ ডিভাইস নিয়ে জোরদার প্রচার চলে। রেলমন্ত্রক দাবি করে, কুয়াশার বাধা পেরিয়ে এবার থেকেই নিজস্ব গতিতেই ছুটবে ট্রেন। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত উদ্বোধন করেছেন। বাড়তি গতিসম্পন্ন এই ট্রেন ভারতীয় রেলকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু আজও কুয়াশার বাধা কাটিয়ে ওঠার সুলুকসন্ধান পাচ্ছে না রেল। ঘণ্টায় ১২০-১৪০ কিমি গতির সুপার ফাস্ট ট্রেনগুলির দৌড়ের সীমা অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শীতের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই বর্ধমান-রামপুরহাট, রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ, হাওড়া-ব্যান্ডেল, বর্ধমান-বোলপুর সেকশনে বিশেষ পরিদর্শন সারা হয়েছে।


    পূর্ব রেলের মূল্যায়ন অনুযায়ী, এই সেকশনগুলি সবচেয়ে বেশি কুয়াশার সমস্যায় ভোগে। আর এই শাখাতেই পূর্ব রেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনগুলি চলাচল করে। ঠান্ডার সময়ে এই সেকশনগুলিতে দৃশ্যমানতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সাইন বোর্ড, সাইনেজ এবং লেভেল ক্রসিংগুলিকে নতুন করে রং করা হবে। ট্র্যাকের দৃশ্যমানতা বাড়াতে বিশেষ এলইডি লাইট লাগানো হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে স্টেশন মাস্টারদের তরফে ধারাবাহিক নজরদারিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)