• অবশেষে কলকাতায় কমল বায়ুদূষণের মাত্রা, নিয়ন্ত্রণে রাখতে চলবে তিন বেলা জল স্প্রে
    বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীপাবলিতে কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা চরমে পৌঁছেছিল। পুজোর আবহে শহরের ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ ছিল খুব খারাপ। গত রবিবার অবশ্য এয়ার কোয়ালিটি ‘উন্নত’ হয়েছে শহরে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, পুজোর মরশুমে এই প্রথম এতটা ভালো হয়েছে বাতাসের মান। সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে কলকাতা পুরসভাও উদ্যোগ নিয়েছে। শহরের গাছপালা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট— সর্বত্র তিন বেলা করে জল ছিটানো হচ্ছে। এমনকী, বাতাসে জল স্প্রে করা হচ্ছে। যাতে ধূলিকণা বাতাসে না ভাসে। শীত আসার আগেই মিস্ট ক্যানন দিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার জল স্প্রে করার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন নির্মাণ বিশেষ করে বহুতলের ক্ষেত্রে সবুজ কাপড় দিয়ে ঢেকে কাজ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।


    কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, দীপাবলির পর শহরে বাতাসের মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তারপরই লাগাতার জল ছিটানোর কাজ শুরু হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার শহরের ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’ ফিরে এসেছে সবুজের দাগে ‘স্যাটিসফ্যাক্টরি’। আপাতত শীতের কয়েক মাস রুটিন করে তিন বেলা শহরের গাছপালা, রাস্তাঘাট এবং বাতাসে জল স্প্রে করা হবে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পুরসভার জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ শহরজুড়ে জল স্প্রে করার কাজ করছে। পুরসভার হাতে বর্তমানে রয়েছে দু’টি মিস্ট ক্যানন। তার মধ্যে একটি উত্তরে এবং অন্যটি দক্ষিণ কলকাতায় ব্যবহার করা হচ্ছে। কাশীপুর, বি টি রোড, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শ্যামবাজার, স্ট্র্যান্ড রোড, ভিক্টোরিয়া, ই এম বাইপাস, টালিগঞ্জ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ, বালিগঞ্জ, আলিপুর, পিকনিক গার্ডেন, তারাতলা, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ অঞ্চলে এই দু’টি মিস্ট ক্যানন ঘুরছে। এর বাইরেও পুরসভার হাতে রয়েছে ৩৫টি ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার। প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি করে স্প্রিঙ্কলার বরাদ্দ করা হয়েছে। মিস্ট ক্যানন দিয়ে নিয়মিত বাতাসে জল স্প্রে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, স্প্রিঙ্কলার দিয়ে রাস্তা ও বড় বড় গাছ, ফুটপাতের গ্রিন জোনে জল দেওয়া হচ্ছে।


    এ প্রসঙ্গে পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, আমরা নিয়মিত জল দেওয়ার কাজ করছি। তিনটি শিফটে পুরকর্মীরা কাজ করছেন। যেখানে দূষণের পরিমাণ বেশি, সেখানে সন্ধ্যার দিকেও জল ছিটানো হচ্ছে। বাতাসে দূষণের মাত্রা কমানো বা বাতাসের মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে এই পন্থা স্বল্পমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হলে শহরের বুকে ডিজেল বা পেট্রল জাতীয় গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া কিংবা নির্মাণ ক্ষেত্রে ধুলো নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)