তারকেশ্বরে দুর্ঘটনায় মৃত্যু প্রৌঢ়ের, বেআইনি পার্কিং নিয়ে নির্বিকার প্রশাসন
বর্তমান | ১২ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: তারকেশ্বর শহরে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাইকচালকের। সোমবার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তারকেশ্বর-বর্ধমান রোডে একটি নার্সিং হোমের সামনে মালবোঝাই একটি লরি পিষে দিয়ে চলে যায় ওই বাইকচালককে। মৃতের নাম অমর কাঞ্জিলাল (৪৯)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর থানা এলাকার মহিষগড়িয়া এলাকায়। তিনি সিঙ্গুরে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে জামালপুরে ফিরছিলেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতার যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে স্থানীয় প্রশাসনের উপর। কারণ এই রাস্তার সিংহভাগ জুড়ে পড়ে রয়েছে ব্যবসায়ীদের জিনিসপত্র। তার উপর রাস্তায় বেআইনি পার্কিংয়ের রমরমা। এসব কারণেই যান চলাচলের জন্য অপ্রশস্ত হয়ে পড়েছে রাস্তা। প্রশাসন সব দেখেও নির্বিকার, বলছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তা চওড়া করার পাশাপাশি একমুখী করা হয়েছে। তবে তাতে লাভের লাভ হয়নি। একমুখী রাস্তার একদিক জুড়ে থাকে লরির বেআইনি পার্কিং। সেই পার্কিং সরানোর উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। পুলিস ও পুরসভা সক্রিয় হলে বেআইনি পার্কিং যেমন আটকানো যেত, তেমনই ব্যবসায়ীরাও রাস্তায় মাল রেখে ব্যবসা করতে পারত না। প্রত্যক্ষদর্শী আলম নুর বলেন, নার্সিংহোমে এক আত্মীয়কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সেখান দিয়ে জামালপুরের দিকে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। রাস্তার ধারে ছিল টিনের দোকান। সেই টিন দোকান ছাড়িয়ে মাঝ রাস্তা পর্যন্ত চলে এসেছিল। বাইকচালক সেগুলি কাটিয়ে যেতে গেলে পিছন থেকে আসা দ্রুত গতির একটি লরি পিষে দেয় তাঁকে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এই ব্যক্তির।
টোটোচালক প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন, সারা বছর লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে লরি। রাস্তা চওড়া হলেও সাধারণ মানুষের কোনও উপকারে লাগছে না। উল্টে বাড়ছে দুর্ঘটনা। আশুতোষ হিমঘরের কাছে এই রাস্তা দ্বিমুখী হয়েছে। সেখানে রাস্তা আরও চওনা করার পাশাপাশি ডিভাইডার তৈরি করা উচিত। সাহাপুর থেকে মেইন রাস্তায় এসে মিশেছে একটি সরু রাস্তা। সেই মোড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আশা করি, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। ঘাতক লরি ও চালককে আটক করেছে পুলিস।